রত্না সেনগুপ্তা
পরিচিতি
—————————
নাম : রত্না সেনগুপ্তা
৭২ বছরের তরুণী কর্মে ও মননে। স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ থেকে জেনারেল নার্সিং পাশ করে সরকারী হাসপাতালে চাকুরি। এবং জীবনের ঘাত প্রতিঘাতের পথ পেরিয়ে চলা, প্রফেশন চেঞ্জ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ডিপ্লোমা সেই পথেএগিয়ে চলা পরে আবার মূলস্রোতে ফিরে আসা 1983 তে বনহুগলীতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দ্য অর্থোপেডিক্যালি হ্যান্ডিক্যাপ্ডে জয়েন করা, আঠাশ বছর চাকরী করার সুযোগে নানান ঘটনাকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পাই। আমি লিখতে শুরু করলাম চাকুরি অবস্থা থেকে অবসর নেবার পর নিয়মিত। অন লাইন লেখা শুরু ছোট ও বড় গল্পের মাধ্যমে। এরপর কবিতা লিখতে শুরু করি বিভিন্ন গ্রুপে। বাড়িতে সাহিত্যের পরিবেশ ছিল, বাবা বড় দিদি লেখালেখি করতেন। অনেক সাহিত্যিকদের আনাগোনা ছিল। তাই মনে প্রবল ইচ্ছা ছিল। হিন্দি সাহিত্যে কোবিদ অর্জন করার পর সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধি পায়। ছোটো গল্প বড় গল্প লিখতে শুরু করি।
আমার প্রথম বই – “নির্বাচিত বত্রিশা অণুকবিতা”
দ্বিতীয় বই- একক কবিতার বই, ‘আমার লিখন’
তৃতীয় – “পঞ্চবান সরণী”
চতুর্থ – একক কাব্যগ্রন্থ “সালংকারা”

লেখিকার সৃষ্টি

মহালয়ার ভোর || Ratna Sengupta
মহালয়া মানে ভোরের বেলাবীরেন্দ্রকৃষ্ণের স্তোত্র গান,মহালয়া মানে মহিষাসুর মর্দিনীরআগমনী গানের

মহালয়ার ভোরে শুনি || Ratna Sengupta
মহালয়ার ভোরে শুনিদেবী স্তোত্র পাঠে,তর্পন করবে গঙ্গা বক্ষেযাচ্ছে সবাই ঘাটে।

বৃষ্টি ভিজে বাড়ে অসুখ || Ratna Sengupta
বৃষ্টি ভিজে বাড়ে অসুখকরছ কেন ঘ্যানঘ্যান,সকাল থেকে রয়েছে কাজথামাও দেখি

বিষাদের জল ধরে || Ratna Sengupta
বৃষ্টি এলো তড়িৎ পায়েসিক্ত শিউলি মেয়ে,সাদা কাশে জলের ধারাপড়ছে ঝালর

দেশ বিদেশের রবে || Ratna Sengupta
চিড়িয়াঘর দেখতে যাবেখুশি মনে খোকা,সকাল থেকে কান্না করেপোষা ভুলু বোকা।

শিঞ্জিনী ওই কবে || Ratna Sengupta
“হৃদয় খানি পুড়িয়ে তবেএলে সুখের শ্রাবণ,আর কেন মন রইবে ঘরেভিজছে

শিক্ষা নেবে সবার থেকে || Ratna Sengupta
“মাটি শেখায় সহিষ্ণুতা মুখে হাসি রাখাবাতাস শেখায় অবিরত কর্মে ব্যস্ত

দেশের কোণে কোণে || Ratna Sengupta
আকাশ আমায় ডাকলো কাছেশেখায় উদার মনা;বৃষ্টি হয়ে পড়বে ঝরেদেশের কোণা

নারী দিবস বলে সবাই || Ratna Sengupta
নারী দিবস বলে সবাইবুঝলি কিছু, মেয়ে,চুপ করে রয় কাজের মাসিবোঝার

কাব্য রসে ভারী || Ratna Sengupta
ভাবছে মনে পুস্তক সনেশ্বেত বসনা নারী,নজরুল রবি আঁকে ছবিকাব্য রসে

কাঠবেড়ালি লেজটি তুলে || Ratna Sengupta
কাঠবেড়ালি লেজটি তুলে গাছের পরে চলেদোয়েল কোয়েল মধুর সুরে কত

হুটোপুটি রব || Ratna Sengupta
ঢেঁকির পরে বাচ্চা চড়েওঠা নামা খেল,খেলাধুলা বাচ্চাগুলাধপাস ধপাস ফেল। পড়ে

সকল আপন পর || Ratna Sengupta
রাখি উৎসব পূর্ণিমাতে কিনতে হবে ভাইপাশের বাড়ির বুনু আছে বাঁধবে

শপথ প্রতীক ধরে || Ratna Sengupta
ভাদ্রের দুয়ে পূর্ণিমা আজরাখি উৎসব রবে,ছোট্ট বনু বাঁধবে রাখিউপহার কই

মুহ্যমান যে শোকে || Ratna Sengupta
প্রাবৃট কালে ধারাসারেভাসছে নদী নালা,ভাসছে গাড়ি ভাসছে বাড়িসকলের হয় জ্বালা।

দূরের দেশে চলো || Ratna Sengupta
চরণদাস চোর ফিরতে হয় ভোররাতে ব্যস্ত কাজে,গৃহস্থের ঘর আহা রাতভরথাকে

অন্তরেতে বলে || Ratna Sengupta
নীল আকাশে সাদা নৌকাপেঁজা তুলোয় ভাসে,নরম রোদে মিঠে আলোয়শরত কালে

করতে হবে দোষীর জব্দ || Ratna Sengupta
পেঁচার ডাকে ফাঁদ পেতেছেরাত আঁধারে চোরের দলে,লুণ্ঠন পেশা মদের নেশাকাটায়

চলে কেবল ফুর্তি || Ratna Sengupta
চৌষট্টি বার মাধ্যমিক ফেলতবু গাঁয়ের নেতা,কথায় বার্তায় হামবড়া ভাবএমনতরো কেতা।

শরৎ এলো পেঁজা তুলোয় || Ratna Sengupta
শরৎ এলো পেঁজা তুলোয় টুকরো টুকরো মেঘেফুলের বাহার গাছের তলায়

হাসছে কেমন সুখে || Ratna Sengupta
অর্ক জ্যোতি মিঠে রোদেভাসে আকাশ বুকে,পেঁজা তুলোর শরৎ তরীহাসছে কেমন

পিসির নামে জাগে || Ratna Sengupta
পদি পিসির চোপার চোটেকাক বসেনা চালে,দুপুর রোদে তেঁতুল শুকায়শুকনো লংকা

ধড় ফড়ানি রবে || Ratna Sengupta
পাগলা পাঁচুর গানের গুঁতোয়বেদম হাসি পাবে,সর গম সাধা হেঁড়ে গলায়আত্মা

আরেকটা গান সাধে || Ratna Sengupta
বাঘের গায়ে ডোরাকাটাবিড়াল কেন মাসি?সার্কাস জুড়ে খেলা দেখায়বাঘ বিড়ালে হাসি।

শান্তি এনো ধরার বুকে || Ratna Sengupta
পুরুলিয়ার পথে পথে সাদা কাশের মেলাশরৎ ঋতুর বার্তা আনে সাদা

বিশ্ব কথা বলে || Ratna Sengupta
শরত মেঘে পেঁজা তুলোর নৌকো ভেসে চলেআগমনির সুরের তানে বিশ্ব

চক্ষু দুটি মুড়ে || Ratna Sengupta
ফুরিয়ে যাবার আগে গল্প কথা বলেজীবন কাহিনী তথা নব রূপে

আসার পড়ুক ঝরে || Ratna Sengupta
দাবদাহে অস্থিরচিত্ত আসার পড়ুক ঝরেরুক্ষ চৌচির ফুটিফাটা কর্কশ ভূমি ধরে।অবশেষে

এর নাম জীবন || Ratna Sengupta
পাথুরে রাস্তায় প্রতি পদক্ষেপে ক্ষত বিক্ষত হতে হবে,থামলে চলবে না,

কাটাই জীবন || Ratna Sengupta
রঙ্গমঞ্চে বেঁচে আছি কাটাই জীবনবিধাতার লিপি কপালে নিয়ে,যেমন নাচান তিনি

সোঁদা গন্ধে ভেসে || Ratna Sengupta
ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধে ভেসেপুলক জাগে মনে,বাদলা শাড়ি ধুলো কাদায়

স্মরণে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী || Ratna Sengupta
পিতা গোবিন্দসুন্দর মাতা চন্দ্রকামিনীপুত্র রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী,মুর্শিদাবাদ কান্দিমহকুমার জেমোতে জন্মগ্রহণছিলেন

তোমায় আমি চাই || Ratna Sengupta
তৃষিত হিয়া আকুল আজি পরান কারে চায়তপ্ত নিদাঘ গুমোট গরম

সংরক্ষণে হৃদি ভরো || Ratna Sengupta
জীবনে মরণে তৃষ্ণা মেটাতেবিশুদ্ধ জলে প্রাণ বাঁচে,পৃথিবীর দান ধরে রাখো

গোপনে রয় কাছে || Ratna Sengupta
পাতার গাড়ি চড়তে মজাছেলেবেলার খেলা,শুকনো পাতা সুপারির ওইপড়ল দেখি মেলা।

সুখের দিন রবে || Ratna Sengupta
কথা দিয়েও রাখোনি কথাদিয়েছ শুধু ব্যথা,তবু তোমার নামের মালাঅন্তরে যে

শেষ যাত্রা বলে || Ratna Sengupta
সকাল বেলা সূর্য ওঠেঅস্ত যায় সাঁঝে,কর্ম শেষে গৃহেতে ফেরাসুখ দুখের

চাবি থাকে হাতে || Ratna Sengupta
জীবনের ছন্দ আসে প্রেম অনুরাগেসম্পর্কের মাধুর্যতা ভালোবাসা মাঝে,আলাপনে গভীরতা কাটে