ঝকঝকে দেয়ালে,রংচটা ছবি না আঁকিবুকি ?
হয়তো বহু বছর আগের এক জ্বল্ জ্বলে ছবি ।
হয়তো বা প্রেমিকের মাঠে খেটে ঘরে ফেরা,
যবে প্রেমিকার তুলসী তলে প্রণাম হতো সারা ।
কখনো বা মাটির দাওয়ায় শরীর বিছিয়ে দেওয়া
কখনো বা রাতে প্রিয়ার শোনিতে বওয়া ।
সে সবের সাক্ষী হতো খোলা জানালা
আর সে রাতের মধু চন্দ্রিমা ।
কালের নোনা হাওয়া লেগে ,
রঙের প্রলেপ হয়ে গেছে হালকা,
ছবির মেল বন্ধনটা হয়েছে নষ্ট,
সবটাই কেমন ছাড়া ছাড়া ।
এটা একটা পরিপূর্ণ ছবি?
নাকি টুকরো টুকরো ঘটনা?
হয়তো বা অতিরঞ্জিত,
নয়তো নিন্দুকের রটনা ।
আগে তো এমন ছিল না ছবি টা,
একেবারে ছিল নিটোল ভরপুর ।
ঠিক গ্রীষ্মের পর শীতে লেপের তলে,
প্রেমিক প্রেমিকার কাটানো দুপুর।
আবার শীতের রাতে ঘরে ফেরা প্রেমিকের
কন্ কনে ঠান্ডা হাতে হাত।
গনগনে আগুনে প্রেমিকার
রুটি সেঁকা গরম হাতে হাত ।
প্রেমিকের ঠান্ডা হাত কখনো বা
প্রেমিকার শরীরের তাপে তপ্ত,
সাদা রঙের ওপর কখনো বা,
কালো রঙের প্রলেপ দিতে মত্ত ।
আজ সাদা রঙ তার
ধবলতা হারিয়ে ধূম্রজালে আবরিত ।
কালো রঙ রূপ নিয়েছে একটা ছাতার,
যেটা জীবনের বহু বর্ষায় হয়েছে ব্যবহৃত ।