রক্ষাসূত্র রাখি
পুরানে র মতে দেবতা ও দানবের যুদ্ধে দেবতারা যখন পরাজয়ের মুখে…দেবরাজ গুরু বৃহস্পতির উপদেশচান । গুরুর উপদেশে দেবী শচী দেবরাজের হাতে মন্ত্র পূত রাখি বেঁধে দেন শ্রাবণ পূর্ণিমা র দিনে ॥ তার পরই দেবতারা যুদ্ধে জয়লাভ করে।যম ভগিনী যমুনা যম রাজ কে রাখি পরালে যম বলেন ……যার হাতে বোনে র বাঁধা রাখি থাকবে..আমি স্বয়ং তার রক্ষা কোরব। কথিত আছে গনেশের দুই পুত্র শুভ ও লাভ বোনে র হাতে রাখি বাঁধার জেদ করলে গনেশ পত্নী ঋদ্ধি ও সিদ্ধির অন্ত র থেকে বের হওয়া তেজপূঞ্জ সৃষ্টি করে দেবী সন্ত ষীর ॥গনেশ পুত্রী সন্তোষী শুভ ও লাভের হাতে রাখি বাঁধেন …সূচনা হয় রক্ষা বন্ধ নে র ॥
আবার অনে কে বলেন যে এই দিনে মা লক্ষ্মী কে বালি নিজের প্রাসাদে স্হান দিয়েছিলেন …মা দরিদ্র না রীর ছদ্মবেশে ছিলেন! কথিত যে লক্ষ্মী তার কাপড়ে র টুকরো বালির হাতে বেঁধে দেন । সেই থেকে এই রাখির প্রচলন ।
মহাভারতেও রাখির উল্লেখ আছে…রাজসূয় যজ্ঞের সময় যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শিশুপালকে বধ করেন তখন তাঁর আঙ্গুল কেটে রক্তপাত হয়।দ্রৌপদী তাঁর আঁচল ছিড়ে কৃষ্নে র ক্ষতস্হান বেঁধে দেন ।কৃষ্ণ কথা দেন দ্রৌপদীর সব বিপদে তিনি রক্ষা করবেন।
রাখি কে ভাই বোনে র উৎসব বলা হলেও দেখা যায় যে পুরুষকে বিপদ থেকে রক্ষার জন্য এই রক্ষাসূত্র বাঁধা হত। পরে তা রাখি বন্ধ নে র রূপ নে য় ॥আলেকজান্ডারও পুরুর যুদ্ধের সময় না কি আলেকজান্ডারের পত্নী পুরুকে রাখি বেঁধে ছিলেন পরিবর্তে পুরু আলেকজান্ডারের কোন ক্ষতিনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । ইতিহাসের আরেক বিখ্যাত রাখির কাহিনী হল হুমায়ুন ..কর্মাবতীর কাহিনী।গুজরাটের বাহদুর শাহেরআক্রমণ থেকে চিতোর কেরক্ষা করার জন্য রানী কর্মাবতী মোঘল সম্রাট কে রাখি পাঠিয়ে ছিলেন। হুমায়ুনে র চিতো র পৌছতে একটু দেরী হয়ে গিয়েছিলো…কর্মাবতী ও তার সঙ্গিনী রা ধর্মরক্ষার জন্য জহরব্রত করে আগুনে আত্মাহুতি দেন ।
কবিগুরু বঙ্গ ভঙ্গ র বিরোধীতা করে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাখিবন্ধন উৎসবের সূচনা করেন ।