না বলেছি শুনে,ভেবোনা সেদিনে, বাজাবো না বাঁশী আর,
আমার বারতা, বলেছে সে কথা,তোমাকে তো বারে বার।
তুমি বুঝেছিলে,কিছু শুনেছিলে,আমি গেছি মথুরায়,
তখন সেখানে,ভুলে নিধুবনে,বিরহে খুলেছি দ্বার।
হারানো হিয়ার ক্রন্দন শুনে,বুঝেছি যে বারেবার,
তুমি ছিলে নারী, আমি যে ভিখারি, প্রেম যাচি বারেবার।
সেদিন যে রাতে,গেছি মথুরাতে,কি যে ছিল অধিকার,
কার কথা শুনে,ভ্রমেছি সেদিনে,তুমি বিনে মনে, আসে হাহাকার।
নীপবীথি তলে,হেরিয়া সকলে,রাধা রাধা বোল বলে,
শ্যাম সেথা নাই, ডাকিছে বৃথাই, ভাসে নয়নের জলে।
প্রেম সে তো ভবে, চির কালই রবে, বিরহ যে সুমধুর,
যারা ভালোবাসে, অতি কাছে আসে, তারা যায় বহুদূর।
নীল যমুনায়, কানায় কানায়, ঢেউ ওঠে নামে কত,
যত প্রেম ছিল, সবই ভেসেছিল, নদীর স্রোতের মতো।
তুমি শোন রাই, বলিতে ডরাই, প্রেম শুধু নাহি টানে,
দূরেও ঠেলেছে,কত কি বলেছে, সে হিসাব কে বা জানে!
কলঙ্ক যদি, বলবেই তুমি,ভেবে দেখো একবার,
সারাটা জীবন কলঙ্কময়, প্রেম নাহি সয় যার।
যে বাঁশরী শুনে, তুমি রাতি দিনে, পাড়ি দাও যমুনায়,
সে বাঁশী বাজিয়ে, আমিও পাগল,গোকুলের মহিমায়।
যারা ভালোবাসে, সকলেই ভাসে, প্রেম সাগরেতে হায়,
কত জ্বালা পেলে,প্রেম সুধা ঢালে,অকুল সে দরিয়ায়।
রাধা বিনোদিনী, শ্যাম বিরহিণী, কখনো কি ভোলে হায়,
কানু প্রেমাবেশে, সকলেই ভাসে, যেথা যায় শ্যামরায়।
শুধু নহে মোর, চিত্ত বিভোর, বুঝি কেন সে কাঁদায়,
নহে একা মোর,খুলি বাহুডোর, বুকে রাখি শ্যামরায়।
চিরসখা মোর, যেও নাকো ছেড়ে, যেও নাকো আর ছেড়ে,
প্রাণ লয়ে আর, খেলো নাকো সখা, মেরো নাকো প্রাণে মোরে।