তোমার শরীরের প্রকোষ্ঠ থেকে
ভালোবাসা শুঁকে নিতে চাই।
কোনোদিন স্পর্শ করিনি তোমায়,
পাছে ভালোবাসা চূর্ণ চূর্ণ হয়ে
উঠে আসে আঙুলের ডগায়।
তুমি আছো আমার স্বপ্নের ভেলায়।
কদিন ধরেই দেখছি,
আলুথালু বেশে বসন্ত বসে আছে নদীর পাড়ে।
ভাবে, আর কিভাবে সাজবে সে?
শুধু তোমাকে হারিয়ে দিতে।
গাছে গাছে, ফুলে ফুলে ছেয়েছে এখনই,
ঝরা পাতা ঝরিয়ে নতুন পাতা গজিয়েছে।
শীতকে তাড়িয়ে গ্রীষ্মকে ঢুকতে দেয়নি এখনো।
পলাশের বনে মাতোয়ারা হয়ে গান গায় প্রাণের গান।
নদীতে তাই এখন জোয়ারের বান।
সূর্যকে ডেকে বলেছে কর্কশ না হতে,
চাঁদকে বলেছে গাছের আড়ালে না থেকে পূর্ণ আলো বিকতে।
বনানীর অঞ্চল জুড়ে অপূর্ব এক কীর্তনের আসর বসে রাতে,
শিশিরে শিশিরে সিক্ত হয় ঘাসের ডগাতে।
তবুও, সে পারেনা তোমার সামনে আসতে।
সময় হাডুডু খেলে তোমার জীবনের সাথে,
কতো কাটাকুটি করে।
তবু সে পারে না তোমার জীবনে প্রবেশ করতে।
সেই স্বপ্ন দেখেছিলাম সুপুরীর জঙ্গলে তোমাকে ঘিরে।
আজও দাঁড়িয়ে আছো হিজল জারুলের বনে।
তুমি অপরূপা।
আমার সমস্ত ভালোবাসা কমন্ডলু ভোরে নৈবেদ্যর মতো তোমাকে নিবেদন করি।
আজীবন এমনি করেই থেকো তুমি।
তুমিতো পরিপূর্ণ ভালোবাসার ভান্ডার।
কার্পণ্য কেন?
রাধা তো কৃষ্ণকে প্রেম দিতে চেয়ে নিয়েছিলো তার মোহন বাঁশি।
তুমি কিন্তু নিওনা কেড়ে আমার ঝর্ণা কলম,
আমি কিন্তু তোমায় খুব ভালোবাসি।
পদ্মপাতায় টলটলে শিশিরের জলের মতো আমায় দিওনা প্রেম।
আমি চাই পূর্ণ প্রেম দীঘল দীঘির মতো।
ভালোবেসো, প্রেম দিও অকাতরে।