হঠাৎ একটা চিঠি উড়ে এলো আমার কাছে,
উৎসুক হয়ে খুলে দেখলাম চিঠিটা
ওহ্ এ তো মেঘেদের চিঠি!
এ যে নিমন্ত্রণের চিঠি!
মেঘেদের সাথে মেঘেদের দেশে যাবার নিমন্ত্রণ!
আমাকে নিয়ে যাবে ওরা ওদের দেশে,
জৈষ্ঠ্যের প্রখর দাবদাহের পর যখন ওরা আসবে
আমাকেও সঙ্গে নেবে।
ওদের মতোই আকাশের বুকে ভেসে বেড়াবো,
থাকবে না কোনো কাজের বাঁধন আর
থাকবে না বাড়ি ফেরার তাড়া।
মেঘেদের সাথে ভাসতে ভাসতে বৃষ্টি হয়ে
ঝড়ে পড়বো ধরনীর বুকে।
শীতল করবো তপ্ত মৃত্তিকা কে।
গাছ পালা গুলোও সব সজীব হয়ে উঠবে
জৈষ্ঠ্যের প্রখর তাপে ওরা কেমন যেন নির্জীব
হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টির ফোঁটা পেয়ে ওরা আনন্দে মেতে উঠবে।
আর আমি ওদের ওই আনন্দ প্রাণ ভরে উপভোগ করবো।
আর যখন একপশলা বৃষ্টি দৌড়ে এসে তোমাকে
ছুঁয়ে চলে যাবে,
তখন কিন্তু তুমি রাগ কোরোনা।
তোমাকে ছুঁতে চাওয়ার ইচ্ছা তো ছিলই,
তাই একটু ছুঁয়ে দেখা।
আমি আবার চলে যাব মেঘেদের সাথে,
ওদের সাথে ঘুরে বেড়াবো দূর থেকে দূরান্ত,
মাঠে -ঘাটে-বনে ।
যখন শরৎ রানী কাশফুলেতে ভরিয়ে দেবে
মাঠ – ঘাট- নদীর পাড় তখন আমি ফিরবো।
যখন শিউলি ফুলের মিষ্টি সুবাস ভরিয়ে তুলবে
আকাশ- বাতাস তখন আমি ফিরবো।
নবরূপে সেজে উঠবে যখন এই ধরনী তখন আমি
ঠিক ফিরে আসবো
আনন্দ যজ্ঞে সামিল হতে।