যৌবনে যেন লেগেছে চির বসন্তের ছাপ,
সুন্দর সুঠামো তরুণ।
উন্মাদ বনলতা- চঞ্চল ঝর্না,
নদীর ধারের কাশবনের নিবিড় স্নিগ্ধতা।
পাহাড়ের চূড়ায় সিংহদেবতার মন্দির।
চঞ্চল বনানী –
রূপঝাড়ির লাল, সাদা, হলদে বা
ওই রঙিন আলপনার ফাঁদে
জড়িয়ে আছে কত ভ্রমরের মধুর গুঞ্জন।
উন্মাদ তরুণ! জীবন জুগুপ্সার জ্বালায় জ্বলে
ঘুরে মরছে প্রিয়ার সন্ধানে। নিশ্চুপ বনলতার
ফাঁকে ফাঁকে অথবা ঝর্নার ধারে খুঁজছে।
যূব তরুণীও মিলনের প্রতীক্ষায় আকাশের
তারা গুনছে। স্নিগ্ধলতায় জড়ানো
গাছের নীচে, অথবা নদীর ধারের কাশ- বনের
পাশে দেখা দুজনার।
নবপল্লব এসেছে শাখায় শাখায়, নদীতে
জেগেছে জোয়ার। রাঙা হয়ে বনানী
হাসছে। প্রেম নৈবেদ্য
সাজানো থরে থরে,
হাতে বনমালা যুথি,বীথি কিংবা সুজাতার,
অনন্য অর্পণা রূপসীর তপস্যায়
তাপস চলেছে সিদ্ধিলাভে। তারায় ভরা
আকাশ বাহবা জানাচ্ছে।
জীবনের ঈপ্সিত ধনের স্পর্শে
মূর্ছিত তরুণ – তরুণী।