মা : 09
সকালবেলায় ঘুম থেকে আয়া ডেকে তুলে বলে আজ তোমার ওটি, আমাকে তোমায় রেডি করে দিতে হবে। মেরি কাল রাতের কথা বলতে গিয়ে থেমে যায়, সেই সময় নার্স দিদি এসে প্রেসার চেক করে বলে একটু বেশি আছে একটা ইঞ্জেকশন দিতে হবে। নার্স দিদি এসে ইঞ্জেকশন দেয়, মেরি চুপ করে শুয়ে শুয়ে মনে মনে বলে ঠাকুর একটু মুখ তুলে চেয়ো, গরীবের ঘরে তুমিই ভরসা! মেরিকে ওটিতে ঢোকানো হয় আরো দুজন সিজার রুগির সাথে। দ্যুলোক দু তিনজন বন্ধুর সঙ্গে বাইরে অপেক্ষায়, দুতিন ঘন্টা পরেও যখন মেরিকে বাইরে আনা হয় না তখন দ্যুলোক বলে কি ব্যাপার এখনোও কেন মেরিকে বাইরে আনা হলো না? ডাক্তারবাবু বেরিয়ে এসে বলেন অনেকটা জল বেরিয়ে গেছে ইউটেরাস থেকে, ফলে শ্বাসকষ্টে বেবীকে আমরা বাঁচাতে পারি নি, তবে মা সুস্থ, তুমি একটু বোঝাও, পরবর্তীতে আর একটু সাবধানে রাখবে…. দ্যুলোকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে, মাথায় যেন কেউ হাতুড়ি পিটছে,ধপ করে বসে পড়ে। পাশের থেকে বন্ধুরা বলে তোকে শক্ত হয়ে মেরিকে সামলাতে হবে, ভগবান চাইলে আবার ঘর আলো করে আসবে কেউ…. মেরিকে বেড়ে দিলে আস্তে আস্তে দ্যুলোক মেরির সামনে দাঁড়িয়ে বলে কেমন আছিস এখন? মেরি: আমার বাচ্চা কোথায়? আমাকে দেখালো না কেন? দ্যুলোক চুপ করে আছে দেখে মেরি চেঁচিয়ে ওঠে,কি হলো কোথায় আমার বাচ্চা বলো? দ্যুলোক: সে আর বেঁচে নেই… মাথা ঠাণ্ডা কর, ঠাকুর আমাদের কপালে সুখ লেখে নাই….. মেরি: এটা হতে পারে না, আমি নিজে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনেছি, মিথ্যে কথা, এখানে অনেক গন্ডগোল ভেতরে ভেতরে চলছে। একজন নার্স এগিয়ে এসে বলে মাথা ঠাণ্ডা করো নতুবা তোমার শরীর খারাপ হবে আরো, তোমাদের অনেক কনসিডার করা হয়েছে,আর তোমরা এভাবে বলছো? ছিঃ ছিঃ….তোমায় মিথ্যা বলে আমাদের লাভ কি? মেরি: না না আমি কোনো কথা শুনতে চাই না, যদি আমার বাচ্চা বেঁচে না থাকে তবে কই সে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক নতুবা আমরা পুলিশে খবর দেবো, ঝামেলা করবো,এই মুহূর্তে আমার সামনে হাজির করবে….