মা : 06
কারখানায় ওভারটাইম করবে , ঘরে ফিরতে দেরি হবে বলে এসেছে দ্যুলোক মেরিকে, মেরি একটু দ্বিধাগ্রস্ত দেখে ঝাঁঝালো স্বরে বলে ওঠে পয়সা কি গাছে ফলে? খাটবো তবে তো কামাতে পারবো,যে আসছে তার কথা ভাবতে হবে না! না ফ্যাচ ফ্যাচ করে কটা রুটি দিয়ে দে। কারখানায় কাজ করতে করতে মেরির মুখটা মনে হচ্ছিল, না একটু ভালো ব্যবহার করতে হবে, নিজের টেনশনে শুধু শুধু কথা শুনিয়ে এসেছে, দূরে বিকাশের জায়গায় নতুন লোক কাজ করছে দেখে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খেলনার ছাঁচে কাজ করতে থাকে। কারখানার থেকে বেরোতে বেরোতে প্রায় রাত ১১:৩০ পেরিয়ে যায়, অনেক কষ্টে একটি টোটোতে খানিকটা পথ এগিয়ে গিয়ে নামে,আজ যেন রাস্তা শুনশান লোকজন নেই আগেও রাতে ফিরেছে তবে এরকম গা ছম ছম করে নি কখনো, হেঁটে কিছুটা পথ এগিয়ে গিয়ে একটা বচসা কানে আসে, অশ্রাব্য ভাষায় খিস্তি করছে যেন কারা, দুটো দল প্রায় ধস্তাধস্তি করছে,কথা জড়িয়ে যাচ্ছে মনে হয় নেশা করেছে , চলার গতি কমে যায় অজানা আশঙ্কায়! হঠাৎ একটা পেটো পড়ে রাস্তায়, একটা ছেলের কলার চেপে ধরে টাটা সুমো গাড়ি একটা বেরিয়ে গেল, বাধ্য হয়ে পাশের গলিতে ঢুকে ভেতরের রাস্তায় হাঁটতে থাকে, বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে, চিবুক ঘাড় ভিজে যায়, নিজের কাপুরুষতা বোধ যেন বুক চাপা পাথরের মত ঠেকে! কি করতে পারতো, ওদের হাতে পিস্তল ছিল,ঐ ছেলেটাকে যদি মেরে ফেলে! পরমুহূর্তেই মনে হয় না হয়তো মারধর করে ছেড়ে দেবে, নানা কথা ভাবতে ভাবতে জোরে পা চালাতে থাকে, অবশেষে ঘরে ফিরে দরজা ধাক্কাতে থাকে, ঘুম চোখে দরজা খুলে দেয় মেরি।