মা : 01
সকালবেলা ঘুম ভাঙতে আজকাল দেরি হয়ে যায় মেরির।দুকামরার ছোট দুই কামরার ছিটেবেড়ার ঘরে রোদ এসে চোখেমুখে পড়তে উঠে বসে মেরি। মেরির শাশুড়ির গজগজ কানে আসে;কি বাপ , তোর সোহাগি বৌ এর বাসি ঘর পরিষ্কার করে হেঁসেলে আসার সময় হবে কখন! দ্যুলোক মাথা নিচু করে বসে বলে কি জানি উর শরীরটা ভালো নেই, আমিতো পান্তা ভাত খেয়ে যাবো, কারখানায় আজ বড়বাবুর জন্মদিন, দুপুরে ভালো খাওয়া মিলবে, রাতে অবশ্য ফিরতে দেরি হবে,কারণ কারখানায় খেলনার ছাঁচগুলোকে কালকে সকালে রেডি করে দিতে হবে। তবু গজগজ থামে না, মেরির যেন কেমন একটা আলগা ভাব, বিছানা থেকে উঠে বসে দূরের ফুল গাছের দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকে, মন শরীর দুই ভালো হয়ে যায়। দ্যুলোক কখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে খেয়ালই করেনি, আকাশকুসুম না ভেবে উঠে পড়ো,মা রাগ করছে, পান্তা ভাত দাও নতুবা বড়ো বাবুর গালি শুনতে হবে । তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে মেরি, দ্যুলোককে খাবার গুছিয়ে দিতে গিয়ে কেমন যেন গা গুলিয়ে ওঠে, বাইরে উঠানে বমি করে, শাশুড়ি পাশে বসে বাসন মাজছিল, উঠে এসে বলে ও দ্যুলোক আমার নাতি হবে মনে হয়,তুই বাপ সময় করে বৌকে হাসপাতালে নিয়ে যাবি। মেরি মুখে চোখে জল দিয়ে দ্যুলোকের দিকে তাকায়, দ্যুলোক হেসে মাথা চুলকে বলে ঠিক আছে কাল ছুটি নিয়ে যাবো, এখন কাজে যাই, বেরোবার সময় মেরিকে বলে ভারি কাজ করবি না বেশি, এখন আসছি।