বসন্তবেহাগে যে ঝরাপাতাটা কেঁদে গেল
চরণ ছুঁয়ে, মৃত্তিকা তাকে মনে রাখেনি।
শরৎ সন্ধ্যায় যে শালিকটা সারারাত কেঁদে গেল
সঙ্গীর খোঁজে , কেউ হিসেব রাখেনি।
আজ নিজের কাছে একলা হতে চেয়ে অ্যাপিল করলাম জীবনের কাছে —
কেউ দেখলই না জীবনের প্রিজম।
সেই গড়খাই আর পাই না , যেমন পাই না সোঁদা গন্ধ ,
মাঝেমধ্যেই চিটেগুড় আর পচা ভাতের মিশ্রণে নেশাতুর চোখ বলে ” এই মাঠেই তোর প্রথম ফুটবলে পা দেওয়া,
এই মাঠেই ধরেছিল কারুর হাত ,
এই মাঠেই ক্ষীর সাগরে হয়েছিল তোর প্রেমের অন্তিম শয্যা, সাগরে তখন হলাহল।
নীলকন্ঠ উগরে দিয়েছিল নীলক্ষেত তোর অ্যালবামে, চিরতরে।
ত্রিকূট পাহাড়ের দুটো চূড়া গিয়েছিল ভেঙে, বেঁচেছিল অহং শিখর।
কালবৈশাখী কিন্তু পথ ভোলেনি, এসেছিল সঠিক পথেই,
অজ্ঞ মন, যখন জানল,
কালপ্যাঁচার হুতুম ডাক বাজছে কানে।
জীবনটা সহজ হতে চেয়ে পিথাগোরাসের ফর্মুলা মেনে নিল /, আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কি ?
প্রেমে পড়েছি, তোমাকে চাই , অপেক্ষায় থাকবো, আমার জীবনের গান — সব ফিকে হয়ে গিয়েছিল যখন বাপের তেলকলে তালা ঝুলল।
সরকারি তালা তো বহুদিন আগেই বুকে পার্লামেন্ট ছাপ দিয়ে গেছে, গালা দিয়ে নোটিশ টাঙিয়ে।
বামনের চাঁদে হাত দিতে গিয়ে দেখি, প্রেমের মাপ গগনচুম্বি।
পাশ করেছি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,
ডাহা ফেল করলাম জীবনের হিসেব মেলাতে গিয়ে।
দোষটা তোমার নয়, জ্যোতিষীরা বলেছিল – শ্রী আসছে।
হায়রে, কে জানত শ্রী-র আগে একটা “বি” যুক্ত হবে কারুর মাসকাবারি বাজার শেষে !
সমাবর্তন তাই দূর থেকে দেখি, আমন্ত্রণ কেউ করেনি তো !