ঝাপসা চোখে থাকি চেয়ে খোকার অপেক্ষায়,
মরচে ধরা বৃদ্ধাশ্রমের জানলায় অসহায়।
দিন চলে যায় আপন খেয়ালে হয়না সময় খোকার,
একটিবার বৃদ্ধাশ্রমে মায়ের কাছে আসার।
অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যায় বেদন জাগে বুকে,
চুপ কথাগুলো নোনা জলে ভিজে দগ্ধ ক্ষত দুখে।
ছিলেম সুখে স্বামী সন্তান সাথে ছোট্ট দালান বাড়ি,
অকালে হারালেম প্রিয় সাথি স্বামী কষ্টে যাপন ভারি।
কতনা অসুবিধা দরিদ্রতা সনে খোকার পড়াশোনা শেখা,
মা- ছেলের সরল শান্তি জীবন যাপন রেখা।
সময়ের দ্রাঘিমা হঠাৎ করেই পাল্টে দিল জীবন,
বৃদ্ধ বয়সে বোঝা হয়ে শেষে আমার নির্বাসন।
বিবাহ পরে খোকা কেমন বদলে গেলো ধীরে,
মা যে তার হলো বোঝা তাকায় না আর ফিরে।
বাপের ভিটে বিক্রি করে কিনলো ফ্ল্যাট শহরে,
হলোনা ঠাঁই আমার সেথা দিলো সে পর করে।
ছোট্ট ফ্ল্যাট বললো খোকা হবেনা জায়গা তোমার,
বৃদ্ধাশ্রমে আসবো রেখে ব্যবস্থা ভালো থাকার।
সেই যে আমায় দিয়ে গেছে আর পাইনা দেখা,
মনটা ভীষণ উদগ্ৰীব তাই জানিনা ভাগ্য লেখা।
একটিবার আয়রে বাবা দেখবো দু নয়নে,
গর্ভধারিনী মাকে কি তোর পড়েনা একটুও মনে!