Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » মায়াবী || Panchkari Dey » Page 80

মায়াবী || Panchkari Dey

ফুলসাহেব ধরা পড়িল—মরিল। দস্যুরা ধরা পড়িল, এবং তাহাদের সকলেই যথোপযুক্ত দণ্ড পাইল। যখন সকলই হইল, অথচ রেবতীর সন্ধানের কোন বন্দোবস্ত হইল না, তখন অরিন্দমের আশ্বাস-বাক্যগুলিকে দেবেন্দ্রবিজয়ের একান্ত নিরর্থক বোধ হইতে লাগিল। দেবেন্দ্রবিজয় একদিন স্পষ্টই অরিন্দমকে বলিলেন, “সকলই ত হইল, তবে এখন আমি বাড়ীতে ফিরিয়া যাই। আর আমাকে আবশ্যক কি?”

রাগের ভাবটা মুখে-চোখে খুব শীঘ্রই ফুটিয়া উঠে। অরিন্দম মুখ দেখিয়া দেবেন্দ্রবিজয়ের মনের কথা বুঝিতে পারিলেন। বলিলেন, “সে কি! আর দিনকতক তোমাকে থাকিতে হইবে—রেবতীর উদ্ধার এখনও হয় নাই।”

দে। সেজন্য কষ্টস্বীকার করা আপনার অনাবশ্যক।

অ। তুমি রাগ করিয়াছ, দেখিতেছি। রাগের কথা নয়, দেবেনবাবু! কেবল রেবতী উদ্ধার করিলে হইবে না—যাহাতে তাহাকে তাহার বিষয়েশ্বর্যের সহিত উদ্ধার করিতে পারি, সে চেষ্টা করিতে হইবে। রেবতীর কাকা কিরকম প্রকৃতির লোক, ফুলসাহেবের মুখে শুনিলে ত। তিনিও বড় সহজ নহেন—তিনিও একটি ডিক্সএডিসনের ছোট খাট ফুলসাহেব।

দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “এখন কি করিবেন, স্থির করিয়াছেন?”

অরি। একবার রেবতীর কাকার সঙ্গে দেখা করিতে হইবে। তুমিও আমার সঙ্গে যাইবে। রেবতীর সন্ধান করিতে তিনি তোমাকে ডিটেক্‌টিভের জন্য বলিয়াছিলেন;তুমি আমাকেই সেই ভাল ডিটেক্‌টিভ বলিয়া তাঁহার সহিত পরিচয় করাইয়া দিবে, তাহা হইলেই যথেষ্ট। তাহার পর অগৌণে আমি নিজের পরিচয় তাঁহাকে ভাল করিয়াই দিব।

দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “ওঃ! রেবতীর কাকা কি ভয়ানক লোক! বিষয়ের লোভে নিজের ভ্রাতুষ্পুত্রীকে অনায়াসে খুনীদের হাতে তুলে দিলেন! পাছে তাঁর উপরে লোকের সন্দেহ হয়, এজন্য আবার ডিটেক্‌টিভ নিযুক্ত করছেন!”

অ। এ সংসারে কতরকম লোক আছে, দেবেন্দ্রবিজয়! মানুষ চেনা বড় শক্ত কাজ। যে যতটা পরিমাণে মানুষ চিনিতে পারে, সে ঠিক ততটা পরিমাণে নিরাপদ। তোমার বয়স অল্প, এখনও এ পৃথিবীর সকল সংবাদ তোমার কাছে পৌঁছায় নাই।

দে। রেবতীর কাকার কথায়-বার্ত্তায়, ভাবভঙ্গিতে আমার ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে যতটা আসে, বুঝিতে পরি, ফুলসাহেবের মুখে যেমন শুনিলাম, তিনি তেমন ভয়ানক লোক নহেন। তিনি লোকের সহিত যেরূপভাবে কথা ক’ন, যেরূপ ব্যবহার করেন, তাতে পরমশত্রু যে, সে-ও তাঁকে ভক্তি-শ্রদ্ধা না ক’রে থাকতে পারে না।

অ। তাই ত বলছি, তোমার বয়স এখন অনেক কম। আমাকে সঙ্গে নিয়ে একবার তার কাছে চল, লোকটাকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ক’রে খাদ বাদ দিয়ে তোমার চোখের সামনে যখন ধরব, তখন তুমিও জানতে পারবে, লোকটি কী দরের লোক! তখন আমাকে বেশী বাক্যব্যয় করতে হবে না।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66 67 68 69 70 71 72 73 74 75 76 77 78 79 80 81 82 83 84 85 86

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress