‘যুগাতীতের পথ ধরে হাজার বছরের প্রেমের কবিতা হৃদয়ে মোর সযতনে ,
ইচ্ছে হলে খোঁজো তুমি সমুদ্র গভীরে মানিক রতনে যত
আকুলিতা এলো চুলে পথ ভুলে বাতি জ্বেলে স্থলে জলে,
আমি বাজাবো বাঁশি অতল গভীরে অচেনা সুরে
সংগোপনে শুনে নিও কান পেতে।
তুমি যতোই কেন থাকোনা দূরে নভোনীলে,
আছো তো আমার হৃদয় ভূমি জুড়ে।
অমিয় মধুর অলীক সুর নিত্য বাজে,
ভালবাসার আবেগী পরশ করছে আমায় সিক্ত,
অবচেতন চিত্তে তুমি আছো ছেয়ে একচিলতে সোহাগী রোদ্দুর সেজে।
অহর্নিশ তোমায় ঘিরে ভাবনা অবিরত,
ইচ্ছে কুঁড়ি পাপড়ি মেলে ছড়ায় সুবাস বাতাসে
ভালবাসার সমুদ্দুরে আমি হয়েছি প্রেম দরিয়ার মাঝি,
তোমায় নিয়েই কাব্যগাথায় নিত্য আমি বাঁচি স্মৃতির আলিঙ্গনে ।
শব্দব্রহ্মের নকশি কাঁথায় কলম আমার চলে নিরবধি,
তোমার আমার প্রেম কথা যে বিবশ অনুরাগে।
যেখানেই থাকো না তুমি জলে,স্থলে,অন্তরীক্ষে, দূর বহুদূরে-
আমি তো জানি ,সজনী রয়েছে শুধু আমারই বক্ষে।
হোকনা যতোই অচেনা সুরে রাগের আলাপন,
সংগোপনে সে সুরের ছোঁয়া পরাণ মাঝেই অনুভবে বিলক্ষণ টের পাই।
ভালোবাসার পানসি আমার হৃদ-নদীতেই ভাসে ঢেউ তুলে
শঙ্কাহীন প্রত্যয়েতে মনটা তাইতো হাসে মরমী বন্ধু আমার।