এক ঝলক আলোর রশ্মি পড়লো চোখে প্রতাপের
আলোক রশ্মি!নাকি সিঁথির সিঁদূর রেখাটি?
কাছের ছিল এক কালে সে,নামটি হিম বিন্দু,
লতায় পাতায় বনের পথে ছুটতো পিছু পিছু ।
জানতো কি সেই মেয়ে,
কি ছিল সেই ছেলের মনে?
টুসটুসে লাল ঠোঁটে কচি আমের বোল
দখল নিতো ক্ষনে ক্ষনে ।
লতায় পাতায় জমে ছিল প্রতাপের মন ঘিরে
সাঁতরে পুকুর পেরোলো যেই দিন দেখলো পিছু ফিরে
সোনার বরণ মেয়ের বুকে-অজানা এক ঢেউ
ঢেউয়ের দোলায় দুললো প্রতাপ আর জানেনা কেউ।
লালের বরণ সারা মুখে লাজুক লতা হিম,
ছুটলো বেগে লালিমা মেখে ঘরে ।
দেখলে না আর এদিক ওদিক
দেখলে না আর ফিরে ।
জমাট বাঁধা মনে,লহর খানি বহে
প্রতাপ চলে সকাল বিকেল একাই পানসী বেয়ে
সুর বাঁধে তার মনে,বৈশাখেতে আনবে ঘরে তারে
লাল চেলীতে ঢাকবে তনু রাঙ্গাবে তার সিঁথি, সিঁদূরে।
দিনের পরে দিন যে চলে যায়
রাতের পরে রাত
মনটি যে তার উড়ে চলে
যেথা ফুলশয্যার রাত।
বহু দিন পরে, ঘরে ফিরেই বললো মাকে–
কতোই বা আর ফুঁকবে উনুন বারে বারে ।
তোমার সই এর মেয়ে হিম-রইবে ঘর আলো করে
মায়ের মুখের হাসি গেল নিভে,যেমনি প্রদীপ নিবে।
-লাল চেলীতে ঢাকা তনু,হঠাৎ দেখে হিম ,
, তার সিঁথি রাঙ্গা অন্য সিঁদূরে।
জমাট বাঁধা মনে,শূন্য হৃদয় বহে
প্রতাপ চলে সকাল বিকেল একাই পানসী বেয়ে ।
অপূর্ব লাগলো দিদি ।
Very nice.