ভূত-ভাগানোর গান (বিষের বাঁশি)
১
ওই তেত্রিশ কোটি দেবতাকে তোর তেত্রিশ কোটি ভূতে
আজ নাচ বুড্ঢি নাচায় বাবা উঠতে বসতে শুতে!
ও ভূত যেই দেখেছে মন্দির তোর
নাই দেবতা নাচছে ইতর,
আর মন্ত্র শুধু দন্ত-বিকাশ, অমনি ভূতের পুতে,
তোর ভগবানকে ভূত বানালে ঘানি-চক্রে জুতে॥
২
ও ভূত যেই জেনেছে তোদের ওঝা
আজ নকলের বইছে বোঝা,
ওরে অমনি সোজা তোদের কাঁধে খুঁটো তাদের পুঁতে,
আজ ভূত-ভাগানোর মজা দেখায় বোম-ভোলা বম্বুতে!
৩
ও ভূত সর্ষে-পড়া অনেক ধুনো
দেখে শুনে হল ঝুনো,
তাই তুলো-ধুনো করছে ততই যতই মরিস কুঁথে,
ও ভূত নাচছে রে তোর নাকের ডগায় পারিসনে তুই ছুঁতে!
৪
আগে বোঝেনিকো তোদের ওঝা
তোরা গোঁজামিলের মন্ত্র-ভজা।
(শিখলি শুধু চক্ষু-বোঁজা)
শিখলি শুধু কানার বোঝা কুঁজোর ঘাড়ে থুতে,
তাই আপনাকে তুই হেলা করে ডাকিস স্বর্গদূতে॥
৫
ওরে জীবন-হারা, ভূতে-খাওয়া!
ভূতের হাতে মুক্তি পাওয়া
সে কি সোজা? – ভূত কি ভাগে ফুসমন্তর ফুঁতে?
তোরা ফাঁকির ‘কিন্তু’ এড়িয়ে – পড়বি কূলহারা ‘কিন্তু’তে!
৬
ওরে ভূত তো ভূত – ওই মারের চোটে
ভূতের বাবাও উধাও ছোটে!
ভূতের বাপ ওই ভয়টাকে মার, ভূত যাবে তোর ছুটে।
তখন ভূতে-পাওয়া এই দেশই ফের ভরবে দেবতা দূতে॥