নীল পাহাড়ের গহন বনে
সাহেব বাংলো রয়,
সেথায় নাকি ভূতের বাসা
গাঁয়ের লোকে কয়।
অমাবস্যার নিকষ রাতে
সোরগোল চলে খুব,
শেওড়া পেত্নীর হচ্ছে বিয়ে
ভয়ে সবাই চুপ।
বর সেজেছে বেম্মদত্যি
মামদো মেছোর নাচ,
জেলার ভূতে কড়মুড়িয়ে
খাচ্ছে পঁচা মাছ।
ছাদনা তলা সাজায় ভূতে
তেঁতুল গাছের তল,
দেশ বিদেশের ভূত এলে
নামলো বেজায় ঢল।
মেজো পেত্নী রান্না করে
নরমাংসের ঝোল,
সুবাসে তার মাতাল হয়ে
গেছো বাজায় ঢোল।
শুভদৃষ্টি মালাবদল
বেম্মদত্যি খুশ,
খাবার দাবার এলাহি যে
হারায় দেখে হুঁশ।
গা’ হিম হাসি হৈ- হুল্লোড়টা
ভূতের বাড়ি হয়,
দুষ্টু ছেলে মায়ের কোলে
মুখ সিঁটিয়ে রয়।