লুকাতে গিয়েও আমি লুকাতে পারি নি। গোধূলিতে
ক’জন হননপ্রিয় লোক
আমার চুলের মুঠি ধরে হুড় মুড়
বের করে আনে
ঝোপঝাড় থেকে বলে, নে কাদা চেটে নে’। অসহায়
চেয়ে দেখি অমাবস্যা চতুর্দিকে, প্রেতনৃত্য চলে
প্রহরে প্রহরে। লোকগুলো ঝটপট
পরে নেয় ঘাতকের কর্কশ মুখোশ,
শানায় খঞ্জর বার বার। তালতাল
কাদায় কেবল খাবি খাই, লাথি মারে চামচিকা।
নরখাদকের ভঙ্গি ঘাম চিকচিকে
শরীরে তাদের, চোখে মুখে
হননের অসুস্থ উল্লাস। কাদামাখা
ঠোঁট কাঁপে আমার সর্বদা
তৃষিত পাখির ক্ষীণ চঞ্চুর ধরনে, অন্য কেউ
মনে হয় নিজেকে, ছায়ার
সহচর, পরাজয় অনিশ্চিত জেনে
হঠাৎ শরীরে ঝাঁকি দিয়ে কাদা থেকে
মুখ তুলে সটান দাঁড়াই, অমাবস্যা ফুঁড়ে রোগা
চাঁদ এসে চুমো খায় নরকংকালের স্তূপে, আমি
জয়চিহ্ন এঁকে দিই প্রতিটি গোলাপে। শত শত
গোলাপ সুন্দরী থাকে বীরের অধীর প্রতীক্ষায়।
ভুল হতে পারে, তবু
বিশদ বলার মতো কিছু একটা রয়েছে জানি।