পর্ণমোচি বৃক্ষের পাতায় হাওয়া দোল খেলেই ঢেউ বাড়ে সমুদ্রে, মেতে ওঠে গর্জনে।
তখনই প্রকৃতি সাজতে বসে বাসন্তী রঙে।
কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে পাগল সেই উদাসী
তখন সুর ভাঁজে, তার উন্মত্ত বাঁশিতে।
ছবি আঁকে দামিনী
ইজেলে সব রং জড়ো করে।
উদাসী পাগলের সেই সুর তুমি চেননি দামিনী।
বসন্ত তাকে হারাতে পারেনি।
থোকা থোকা ফুল,
বাতাস হাসিতে ব্যাকুল,
আকাশ তখন রঙিন সাজে সজ্জিত,
দামিনীর ছবিতে পাহাড়ের চূড়ার বরফ
চূর্ণ চূর্ণ হয়ে বাতাসে মেশে।
নদীকে গান শোনায় উদাসী পাগল এক মনে বসে।
সূর্য ওঠে, চলে যায়, আবার আসে।
কিছুদিন অন্ধকার দূর করে চাঁদও ভাসে।
মানুষের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা মানুষটা রোজ খিদেতে কাঁদে।
তার ঘর জুড়ে রোজ চাঁদ কিলবিল করে।
সেও বসন্তকে শুঁকে দেখে,
খুঁজে নেয় পরম নির্ভরতায়।
উদাসী পাগলের বাঁশির সুরের কাছে বসন্ত কি হার মানে ?
প্রকৃতিকে সাজায় বসন্ত, কিভাবে সাজাতে হয় বসন্ত জানে।
লালে লাল হয় প্রকৃতি
পাগলের বাঁশির সুরে আকুতি।
রক্তিম বসন্তকে ভুখা পেট নদী পাড়ে রেখে আসে ।
পাগল হাসে,
তবু তার সুরে বসন্তের গান ভাসে।
বসন্ত যে দখল নিয়েছে পৃথিবীর।