হয়তো কিছুই নেই, তবু কিছু আছে।
আমার গল্পগুলি অখ্যাত হলেও তারা
দানে, ধ্যানে মোটামুটি সুখী :
আমার কবিতা আজ অভয়ে আসন গাড়ে
মেধা আর মনীষার ভেতরমহলে।
আমার বিন্যাস, ফর্ম, আমার শিল্পের সব ভাঙ্গাচোরা
আর ঐ ঐতিহ্য আড়াল :
জোড়া দাও :
কখনো সে গ্রামীণ চরকার তাঁত : গৃহস্থের গোধুলি মুকুর :
আমার ছায়াকে আমি ভালোবাসি, আর কাউকে নয়,
তাকে তুমি ভাগ করো, ওলট-পালট করে বর্তমান, ভূত, ভবিষ্যতে–
পাবে তুমি শ্যাওলা জলের গন্ধ, লাল মাটি, ফলসা রমণী :
একটি অমর শাদা গাভী, তার ভাস্বর ওলান
যেখানেই থাকো, তুমি দেখা পাবে : কাঁদো
তোমার সহিত কাঁদবে আসমুদ্র শাদা মুগ্ধধারা–
যখন শহরে ঢোকে অতিকায় আরশোলা,
যখন বাসনা সব ঢাকা পড়ে বধির লবণে :
অস্থির আজান তোলে মুয়াজ্জীন,
বিশ্বাসের ভিত :
খসে পড়ে পরচুলার মতো :
পা রাখি কেবল পাপে, পায়ে পায়ে কেবল পতন,
স্বপ্নগুলো শিকড়বিহীন :
আর তার পাতাগুলি প্রখর প্রদাহে ঝরে, মরে যায়
লাল নীল শাদা ফুলগুলি :
ভরি না, মরি না
আমার একাকী গান
গেঁথে তুলি যুঁইফুলে অদৃশ্য মালার!
রক্তগুলি
বুটিদার কাশ্মিরী শালের লাল,
বিছিয়ে বিছিয়ে ঢাকি
পাপ আর পাপিষ্ঠ পতন
অশ্রুতে লুকিয়ে ফেলি
আরশোলার আহত শহর।
আমার না পাওয়াগুলি জোড়া দাও-আছে
সেখানে বিদ্যুনা রূপোলী জলের :
ধুয়ে দাও ধীরে
আসবে বেরিয়ে এক স্বচ্ছ শহর :
কী ভালো লাগবে হাসিখুশী।
আমার না পাওয়াগুলি জোড়া দাও-আমি
তোমাদের ভালো থাকা হবো
সাবানের স্নিগ্ধ ফেনা, সেন্টের সুরভি শিশি,
জন্ম দেবো একটি গান, একটি কারখানা,
যা কেবল পবিত্রতা তৈরী করতে পারে!
তোমাদের ভালোবাসা তৈরী করতে পারে।