ভাবছি বসে কতো কথা—
কতো না স্মৃতির নামাবলী
নকশিকাঁথার বুননে আঁকা।
আচম্বিতে —-সময় যখন
অবসরের দূর্বল অবকাশে
মনের জানালাটা দেয় খুলে-
হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে থাকে
এলোমেলো স্মৃতিরা–
মনের অলিন্দে-বুকের খাঁজ বেয়ে–
এতো মধুর ! এতো অপার্থিব সুখ !
বিহ্বল আবেশে অপলক আঁখি
ওইতো,আলপথে–ফড়িং ধরতে
ছুটে চলা দুরন্ত শৈশব
গোলাপ ছুট্ , কানামাছি ভোঁ ভোঁ !
খেলাঘরে বারো হাত শাড়ি সামলাতে নাস্তানাবুদ -পাকা রাঁধুনী !
ঝপাৎ–ঝপাৎ– নদীজলে——
সাথী সাথে কতোনা খুনসুটি
কচুপাতা মাথায় দিয়ে সবার
বৃষ্টিরানীর সাথে লুকোচুরি
বৈশাখী মাতাল ঝড়ে——
পড়শীর আমবাগানে—
অলিখিত দখলদারী —–
ননীমামা ! কোথায় তুমি ?
কেমন আছো গো! মনে পড়ে?
যাত্রাপালায় সবার সাথে
যাবে বলে পুঁচকে মেয়েটার বায়না!
ছোট্ট পাদু’টো ব্যথায় টনটন্ —
চোখেমুখে অশ্রু টলটল্
তুমি কাঁধে করে তুলে নিলে—–
একটুকু রাগ না করে ,মমতায় !
বলো,আমি কি ভুলতে পারি তোমায়?
নান্দনিক স্মৃতি সুরভিত সুশোভিত ছবিরা
আজো ,আমার বুকের একান্তে–
ভীষন রকম ভালোবাসা আর আবেগে
আমাকে সোহাগে জড়িয়ে থাকে ওরা
নিঝুম সময় পেলেই -ভাবতে বসি গো
বড্ড ভালো লাগে গো,বড্ড ভালো লাগে ।