ভাড়াটে কুঠি !
নদীর স্রোতের জঞ্জাল সম আসিয়া জুটি |
ওধারে তাহারা এধারে কাহারা ওপরে ও নীচে নানা ;
পাশাপাশি রোজ ঘর করি ভাই—কেহ নয় কারো জানা !
শুধু দু’বেলায় চোখাচোখি হয় একই সিঁড়ি দিয়ে উঠি |
ভাড়াটে কুঠি ||
ওধারের ঘরে তাহাদের ছেলে বুঝি বা ধুঁকিছে জ্বরে ;
এধারে প্রবাসী স্বামীটির লাগি বধূটি শুকায়ে মরে |
নীচে মজলিসে সারাদিন গোল চলিছে দাবার ঘুঁটি |
ভাড়াটে কুঠি ||
একটি ইটের ব্যবধান রেখে পাশাপাশি থাকি শুয়ে ;
এ ছাতের জল ও ছাতে গড়ায় ভিৎ গাড়া একই ভূঁয়ে |
ওইখানে শেষ ; তার পরে আঁটা জানালা কবাট দুটি |
ভাড়াটে কুঠি ||
একদিন ফের ঘূর্ণিতে টানে, কোনখানে যাই ভেসে—
কিছু নাহি জানি, তবুও বিদায় নিয়ে চলি ম্লান হেসে |
যা ছিল আড়াল রহে চিরকাল বাধা নাহি যায় টুটি |
ভাড়াটে কুঠি ||
শুধু কোনো দিন সঙ্গবিহীন বিদ্রোহ করে প্রাণ ;
কঠিন দেয়ালে করাঘাত করে ঘুচাইতে ব্যবধান |
ঘোচে না আড়াল, ব্যাকুল হৃদয় মিছে মরে মাথা কুটি !
ভাড়াটে কুঠি ||