বিষন্নতায় নয়ন বেয়ে
অশ্রু ধারা ঝ’রে,
ভায়ের তরে আঁকবো তিলক,
কোথায় তোরা ভাইরে?
বছর গিয়ে, বছর আসে ,
ঘেরা রাশে রাশে,
শিশির ধারা ঝ’রে শুধুই
দারুণ দীর্ঘশ্বাসে।
জগৎজুড়ে বোনেরা আজ –ভাই-সোহাগী বোন,
আমার যেগো কপালমন্দ
নিয়তির কি লিখন !
অসময়ে ছেড়ে চলে গেলি ,
আমাদেরে ফেলে ,
ফুল-চন্দন সব সাজিয়ে রাখি ভাতৃদ্বিতীয়া এলে।
উতল মনে ব্যাকুল নয়ন
ছবির পানে চাই,
মনে হয় রে বলবি বুঝি
ফোটা দিবি দিভাই।
তাড়াতাড়ি ফোঁটা দে বাপু,
খেলার মাঠে যাবো,
সাঁঝের বেলায়–এসে নাহয় চেটেপুটে খাবো।
স্মৃতি তাহার পাপড়ি খুলে–
কথা মেলে ডালা,
দুচোখ ভাসে–মনটা কাঁদে ,
এ যে বিষম জ্বালা!
কেমনতরো বোনরে আমি,
বেঁচে আছি তবু?
যমের কি চোখ হলো কানা
দেখে নাতো কভু!
দুখ ব্যাথার সাতকাহনে –
-একটু ক্ষণিক সুখ,
একটি ছেলে ভাইফোঁটা নেয়,
খুশি ভরা বুক।
নিশুতরাতে বালিশ চেপে
লুকিয়ে যে কাঁদি,
‘ভাইফোটা’তে আশিস আঁটি
তোর মঙ্গলে বাঁধি।