বড় দেরী করে এলে আমার অসময়ে
মধ্য যামে রাত পূর্ণতা পেতে আর কিছু বাকী।
এখন আমার শরীর জুড়ে শুধুই দুর্দিন,
প্রতিটি গ্রন্থীতে গ্রন্থীতে শয়ে শয়ে সেতার বাজে ভুল সুরে ভুল রাগে।
সেই এলে বড় অসময়ে এলে
ছোট্ট ঝিনুকমালা।
বুকের ভেতরে শুধু মুক্তো সাজানো।
মনে পড়ে ঝিনুকমালা,
সেই রাতে অদৃশ্য বাঁশির সুরে
তুমি কাছে এলে অবগুন্ঠন খুলে__
মনে হোল সাতটা তাজমহল ধ্বংস করে হাজার শিল্পী এসে গড়েছে তোমাকে।
ঝাঁকে ঝাঁকে বাবুই বুনেছে শৈল্পিক বাসা তোমার চোখ থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে।
আমি যেন ধ্যান মগ্ন
সাতটি ঋষির সঙ্গে ।
তুমি কাছে এলে __
তখনও কর্ণফুলী নদীতে হেঁটে যায় পথিকের দল,
সাইকেল আরোহী,
বড় অসময়ে এলে ঘোর দুর্দিনে।
তোমার গায়ের গন্ধে স্বয়ং বুদ্ধের ধ্যান ভঙ্গ হয়।
কোটি কোটি মৌমাছি ভীড় করে ঘরের বাইরে ও ভিতরের সব কটা ঘর।
তোমার অধর তখন খুঁজে ফেরে
আমার কপোল থেকে চিবুক ছুঁয়ে ওষ্ঠের ফাঁক ফোকর।
তোমার তপ্ত শ্বাস আমার শরীরে উদাসী বাতাস,
কাঁপা কাঁপা আমার দুই হাতে
তখন পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় মাখামাখি বুকের দুই পাহাড় চূড়া
ধীরে ধীরে গন্ডুষে পান করি কস্তুরী নাভির সব সুধা রস।
তারপর ___
ধীরে ধীরে জোয়ার আসে শীতলক্ষ্যা নদী জুড়ে ।
দুই উরুর সঙ্গমস্থলে
সবাই জানে
সুযোগে কোটি কোটি শুয়োপোকা রোয়া তুলে ঘোরে শরীরে মাথায় ।
বড় অসময়ে এলে, শীতের গভীরে
হাজার এক্সপ্রেস ট্রেন টেনে নিয়ে যায় সাতটা বাদামি ঘোড়া ।
তুমি ফুসে ওঠো পদ্মা মেঘনা এক হয়ে ।
অসহায় আমি ___
তুমি এলে বড় অসময়ে ঘোর দুর্দিনে ।
গভীর রাতে একগোছা রজনীগন্ধা হয়ে।
প্রেম বাঁধার উপলখন্ড ভাঙে
আসে ভীষন নীরবে নিঃশব্দে।
মানে না কিছুই
এসো তোমাকে জীবনের ধারাপাত পড়াই