পুনরায় ভূতের আগমন
ব্ল্যাক মোরের কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎই জেগে গেলেন হিস হিস শব্দে । টর্চের আলো ফেলে সেই শব্দ কে অনুসরণ করেন। পৌঁছলেন সেই ভাঙা পাঁচিলের কাছে । কানে এল শাসানি। -হোয়াই ডিড্ ইউ কেম হিয়ার? গো ব্যাক্ । লিভ দ্যা প্লেস । চলে যাও ।এখানে থেকো না । ওরা তোমাকে ও মেরে ফেলবে ।
ভাঙা পাঁচিলের কাছে দাঁড়ানো সেই নাবিক । পরনে তাঁর সাদা উর্দি । ডক্টর চার্লস তার মুখে আলো ফেলতেই মুখ ফিরিয়ে নিল সে । ডক্টর চার্লস বললেন–তুমি কে? লোক টি বলল—টর্চ জ্বালিওনা । আমিই ব্ল্যাক মোর। কি করতে এসেছ তুমি ? চলে যাও এখান থেকে ।
ডক্টর চার্লস- তোমার শেষ টা জানতে এসেছি । তুমিই তার ঘোস্ট? -হ্যাঁ । দু’শো বছর আগের কথা জেনে কি হবে ? গল্প লিখবে ? একজন নাকি লিখেছে ” প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া ” । তাতে লিখেছে আমি নাকি নেটিভ দের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করিনি । আমার ব্যাবহারে নাকি আমার মা ইন্ডিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছিল । ডক্টর চার্লস বললেন- তোমার সম্বন্ধে আমি কোন খারাপ তথ্য পাই নি । তবে তুমি খারাপ না হলে ওরা তোমাকে মারলো কেন? তবে তুমি কি ভাবে মারা গেছ তার কোন তথ্য আমার কাছে নেই । হুঙ্কার দিল ব্ল্যাক মোরের ভূত ।-দেন গো অ্যাওয়ে । চলে যাও এখান থেকে । কেঁপে উঠল শিলা। পাঁচিলের এক খন্ড ভেঙে পড়ল।
কখন ঘরে ঢুকলেন তাও মনে নেই ডক্টর চার্লস এর। সূর্যের আলো চোখে পড়তেই মনে পড়ল আগের রাতের কথা । উঠে বসল বিছানার উপরে । চিক্ চিক্ করছে সমুদ্রের জল । বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তেই সাদা ফেনা ।
ব্রেকফাস্ট এর টেবল এ ইসাবেলা বলল– ড্যাড্, কাল রাতে ঘোস্ট এসেছিল । হি ওয়াজ কলিং মি। এমিলি স্বামীর দিকে তাকালেন। ডক্টর চার্লস বললেন—ইসা, তুমি ঘোস্ট কে ভয় পাওনা ?
ইসাবেলা- নো ড্যাড্ । ও তো আমাদের ফোর ফাদারের ঘোস্ট । হ্যারি বলল- মম্, কাল রাতে একটা জাহাজ এসেছিল । উত্তেজিত ডক্টর চার্লস বললেন- তুমিও দেখেছ? হ্যারি বলল- হ্যাঁ ড্যাড্ । এমিলি বললেন- জাহাজ? এখানে ? ডক্টর চার্লস- হ্যাঁ । ব্ল্যাকমোরের জাহাজ ।