চোখের চাওয়াতে মনের শিহরণ জাগে কাঁপন বুক মাঝে,
ছিপছিপে চিকণ ঝিঙে ফুলের রোদ হাতছানি দেয় সাঁঝে।
গোধূলির লগনে নীলাভ সমুদ্রে উজানে অভিমানী সুরে,
পানসি লয়ে চলি একাকী ঢেউ সাথে পারাবার সীমানা দূরে।
ঠাঁই যে নেই কোথা বোহেমিয়ান হয়ে হারিয়ে যেতে চাই পথে,
ক্ষীণ ম্লান চাঁদের স্নিগ্ধ জোছনার আলোক সজ্জিত রথে।
তোমার দৃষ্টিতে ভালোবাসা খুঁজেছি পেয়েছি অবহেলা শত,
নীরব অভিমানে বিজনে অগোচরে নোনাজলে ভেসেছি কত।
হতাশার জীমূতে মন আকাশ ঘিরে আঁধারের কাজল ছায়,
জীবনের তরণী ঘোলাজলের পাঁকে দিশাহীন ঘুরে যে হায়।
দূর দিগন্তের শেষের সীমানায় মরিচীকার মোহ টানে,
বিবাগি হয়ে মন মদালসা আবেশে ধায় নিরুদ্দেশ পানে।
তৃষিত অন্তরে উদ্বেল ভাবনা নিশ্চুপ সুপ্ত রাজে,
স্বপন সরোবরে একরাশ আলোকে সোনালি ভোর হয়ে সাজে।
আহূত অতীতের ক্ষততে বিক্ষত ছিন্ন বীণা সম মন,
তিতিবিরক্ত যে অবমাননা ভারে দমচাপা কষ্ট সন।
তবুও অতিশয় তীব্র আকাঙ্খা অশ্রুজল সাথে চুপে,
তোমাকে পাওয়ার আশার হিল্লোলে দোলা দেয় অধীর রূপে।
আপেক্ষিকতার হাল হকিয়তের উজান ধারা মাঝে তাই,
স্বমহিমায় রই ভালোবাসা বিলায়ে থাকি সুখে অবাধে ভাই।