শিল্পীর নিপুণ হাত ছুঁয়ে মাটির তাল,
কাঠামোয় লেগেছে যথাযথ, ফুটেছে অবয়ব,
সেজেছে চিন্ময়ী মা শাড়ি গয়নায় সাক্ষাৎ মহামায়ায়,
চক্ষুদান প্রাণদান শেষে হবে সাড়ম্বর বোধন।
মৃন্ময়ী মা নয় অলঙ্কৃতা, নেই সাজের বাহার,
সকল ঋতুর দ্রোহকালেও নির্বিচল সর্বংসহা,
মায়ের হয়না বোধন হয় যে রোজ তিলে তিলে বিসর্জন,
তবু আঁচলই জগৎ সংসারের মাঙ্গলিক রক্ষাকবচ ধন।
জমে আছে শতাব্দীর ঘোর রুদ্র জটাজাল,
সমাজের ঘুণে অনাগত ভ্রুণের হয় নির্বাসন,
ধ্বংসের নটরাজ নৃত্যের আস্ফালনে কেঁপে উঠে ধরাধাম,
পাপের ঘড়া হয়েছে পূর্ণ, হচ্ছে অন্তঃক্ষরণ।
হোক বিবেকের উন্মেষ, অন্তরাত্মার শোধন,
ক্ষুধা শোষনের দারিদ্র্যের চিরতরে শাপমোচন,
চেতনার হোক বোধন দেবীপক্ষের রোজ আবাহনে,
পাঞ্চজন্য শঙ্খধ্বনিতে রক্তমাংসের দশভূজার হবে বোধন এই ভুবনে………..