প্রচণ্ড দাবদাহ,তার মধ্যেই তুমি আসবে
ভাসবে বাঙালি নতুন আবেগে করবে বর্ষবরণ
হে বৈশাখ,তোমার জন্য, তোমায় চেয়ে
ঋতুরাজের মরণ!
“জীবন মরণ সুখ দুখ দিয়ে বক্ষে ধরিব জড়ায়ে
চরণ ধরিতে দিও গো আমারে,নিও না নিও না সরায়ে”
সরিয়ে নিলে মরবে কারা?
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়া
আগুনে ফাগুন মাস, চলে গেছে কবেই
তারপর
“প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ”
উষ্ণায়নে রুদ্ধ জীবন,সবুজে দীর্ঘ শ্বাস!
তবুও শ্বাসেরা চেয়ে রয় ঐ বেলী জুঁই এর দিকে
সুগন্ধময় শঙ্খ শুভ্র সন্ধ্যার আঁকেবাঁকে
তাকিয়ে থাকে…বৈশাখী পূর্ণিমা…
জ্যোৎস্না আলোয় ভেসে যায় চারিদিক
গেয়ে ওঠেন রবিঠাকুর
“হে নূতন দেখা দিক আরবার জন্মেরও প্রথম শুভক্ষণ
তোমারই প্রকাশ হোক, কুহেলিকা করি উদঘাটন
সূর্যেরও মতন,
হে নূতন দেখা দিক আরবার জন্মেরও প্রথম শুভক্ষণ”
সেই শুভক্ষণেও অপেক্ষায় প্রকৃতি
অপেক্ষা একটা কাল বৈশাখীর!
তখনও একটা কোকিল বাস্তব ভুলে আনমনে ডেকে চলে
তার মন জুড়ে কেবল বসন্ত
একটা নদী
একটা পানসি
একটা আলো…
সে ভেসে যায় অজানার টানে
সে ভেসে যায় সুদূরের পানে
জানে না কোথায় তার গন্তব্য
তবু ডেকে যায়,
তবু ভেসে যায় আলোর স্বপ্ন নিয়ে..
যেখানে শুধু আলো
সত্যের আলো,ন্যায়ের আলো
মানবতার আলো…
“কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে যেন আমায়,
কে ডাকে আয় চলে আয়”.