কেন এভাবে গুমোট পরিবেশে,
মনকে শেকলে বেঁধে রাখার প্রয়াসে,
একাকিত্বের আবর্তে নিজেকে দগ্ধ করো!
স্পর্শ কি পাও না আগের মতো
অনুভবে আমার প্রাণচঞ্চল স্বত্তা?
চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস নিয়ে দেখো,
আছি তো পাশে,অবকাশে,
পরিচিত হওয়ার শুরুর দিন থেকে
একই রকম ভাবে দূরে থেকেও ছুঁয়ে,
ভরসার পরম মিত্র আমি অদৃশ্য মানব।
চোখ মেলে তাকাও,খুলে দাও যা কিছু শৃঙ্খল,
প্রতিবন্ধকতার দরজা খুলে দৌড়ে এসো,
তাকাও মনের বিস্তৃত নীল আকাশ জুড়ে
ডানা মেলে উড়ে চলে একঝাঁক দুধ সাদা বক।
ওরা যেন আমাদেরই প্রতিবিম্ব হয়ে,
এঁকে চলেছে ভালোবাসার দিনলিপি।
এসো হাত ধরো,পৌঁছাই চলো প্রায় আড়াই দশক পেছনে,
কোনো এক নিকানো উঠান,শীতলপাটি বিছানো মাটির চাতাল,
নাকে আসছে খুড়িমার তাজা গরম মুড়ি ভাজার সুগন্ধ।
একদল ছেলেপিলের হৈ হুল্লোর আড্ডা শেষে সাপলুডো,বাগবন্দি খেলার আয়োজন মুখরতা!
সব মিলিয়ে মনের মণিকোঠায় জমানো খুঁটি নাটি নানা কথা,মুহূর্ত রোমন্থনে এক অদ্ভুত শান্তি!
মনে কি পড়ে আমাদের হারানো শৈশবের
ডাংগুলি,দড়ি লাফ,বুড়ি ছোঁয়া,দোলনা খেলা!
উদাসী বাউল সুরে,ঘুরে ঘুরে হারানো ইচ্ছে ঘুড়ি
লাট খেতে খেতে দুরে,বহুদূরে এগিয়ে চলেছে।
এভাবেই কালের স্রোতে ভাসতে ভাসতে
তোমার মনের আকাশজুড়ে রামধনু রঙ মাখিয়ে
আমার হঠাৎ করেই স্বতস্ফূর্ত আগমন,
আমার আমি অর্থাৎ এই তুমিটাকে অনেকটা ভালো রাখার নির্ভেজাল প্রয়াস,আলপনা।
এভাবেই ভালো থাকার বার্তা নিয়ে ছড়িয়ে দিও,
পলাশ,অশোক শিমুল,কৃষ্ণচূড়ার রঙ।
তুমি আমি,আমি তুমির গন্ধমাখা অতীত,
হাত নেড়ে ডাক দেবে জানি বারে বারে।
মাটির নিকানো উঠান,মনের সুখ বারান্দা জুড়ে
রচিত হোক আমাদের ভালোবাসার মহাকাব্য।