আষাঢ় আসলেই শ্রাবণের বার্তা আসে, বৃষ্টি নিয়ে।
মেঘের গুরুগম্ভীর মেঘনাদ গর্জনে আমারও বুক কেঁপে কেঁপে ওঠে!
জানি, শ্রাবণের সুরের ধারায় আমার চোখ, ওষ্ঠ ,চিবুক ছুঁয়ে ভাসাবে, ডোবাবে, আবার তুলে ধরবে, তোরই বাহুদ্বয়ে!
নদীর নরম বুক দুলে উঠবে জোয়ার আসবে।
বান আসবে দুকুল ছাপিয়ে!
আর সেই নদীর কিনারায় দাঁড়িয়ে আছিস আমার বড্ড চেনা সেই তুই টা!
এই দৃশ্যটি বারংবার দুলতে থাকে রাতের অন্ধকারে!
আমি গভীর আকুলতায় দুহাত বাড়িয়ে তোকেই খুঁজি।
তুই কোই রে, কোথায় রে তুই, বল কোথায়! আমি ডাকতে থাকি।
হারাতে থাকি আঁধারে!
সেই শব্দের রেশ পাহাড়ের বুক ভেদ করে ঘুরে ফিরে আসে বারে বারে। আকাশে বাতাসে ভেসে ওঠে
তোর অবয়ব, তোরই স্বরধ্বনি!
তারপর বহু বছর কেটে গেছে, কেটে গেছে একযুগ।
তবু সেই স্বপ্ন একবারে মিথ্যা হয় নি।
মাঝে মাঝেই আমি দেখতে পাই আষাঢ়ের ঘনমেঘ পেরিয়ে শ্রাবণ আসছে।
তুই আসছিস নদীর পাড় ধরে । ডাকছিস আমারই নাম ধরে।
বৃষ্টি বৃষ্টি তুমি কোথায়! অথচ আমি নেই কোথাও!
কিন্তু আমি আছি তোর সবখানেতেই,তোর সবটুকু জুড়েই!
হঠাৎ নীল মেঘে এক পশলা বৃষ্টি এলো, আমার বেলি জুঁইয়ের বাগানে।
বৃষ্টি ভেজা সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে তোর সারাটা দিনে-রাতে, তোরই মেঘলা আকাশ জুড়ে!