বৃষ্টির অনুভূতি ধনী ও দরিদ্রের একদম আলাদা―
কত কবি আবার বৃষ্টির অনুভূতি নিয়ে নানা কবিতা লেখেন―
বাদল দিনে আকাশ জুড়ে মেঘ,
শীতল সমীরণ বয়
ব্যাঙের মকমক ডাক, চারদিকে জল থৈ থৈ―
শিশুদের কাগজের নৌকা জলে তরতর করে যায়
কোন কবি আবার বর্ষার দিনে কদম ফুলের ঘ্রাণ নিয়ে কবিতা লিখে ফেলেন
কদম ফুলের মাতাল গন্ধে আধুনিক কৃষ্ণ ও রাধারা নানান অনুভূতি গায়ে মাখে।
কেউ আবার মুষলধারে বৃষ্টিতে থরথর করে কাঁপে―
ফুঁটো চাল দিয়ে কুটিরে ঝরঝর করে জল পড়া
ঘরের জিনিসপত্র ভিজে সপসপে―
ঘরের মাটির উনানে রান্না বন্ধ
অঝর বর্ষণে ঘরের চাল শ্যামলির গায়ে এসে পড়ে
তখন ভেসে আসে ভয়ার্ত শ্যামলির করুণ হাম্বা ডাক!
একটানা বৃষ্টির জলে থৈ থৈ ঘর, উঠোন, মাঠ,মেঠোপথ
তারপর রাতের অন্ধকারে শুনতে পাই চৌকিদারের হাঁক
দামোদরের জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে সবাই পালাও…
পালাতে পারল না আমার পোয়াতি দিদি
কোথায় ভেসে গেছে কে জানে!!
শূন্য গৃহে আজো শুনতে পাই বাবা মা দিদির ডাক।