দূরে বহুদূরে মহাশূন্যে নভ নীল অম্বর,
ইচ্ছে জাগে তোমার উষ্ণতার পরশ পেতে।
নীল দিগন্তে তোমার বিস্তৃতি দেখে গিয়েছি ছুটে তাই,
পাইনি পরশ, তুমি যে সুদূরের প্রেম আধার।
বসন্তের আগমনে চারিদিকে লাল লালিমার বাহারে,
প্রকৃতি সেজেছে পলাশ শিমুলের আগুন রঙে।
আম লিচু কাঁঠাল বাতাবির সুমিষ্ট ঘ্রাণে বিভোর বাতাস,
বসন্তের রঙিন আবেশ প্রকৃতির সীমা ছাড়িয়ে ছেয়েছে নীলাম্বরে।
অপরূপ রূপ লাবন্য, সন্ধ্যার স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় মন কেমনের গান,
ছুটে যায় আবেগী মন অনুরাগের ছোঁয়া পেতে বারে বার।
কিন্তু সেও তো শীতল ছোঁয়া উষ্ণতা পাই কোথায়!
দিগ্বিদিক ঘুরে মনন উষ্ণতার খোঁজে আপ্রাণ।
কত ছায়াপথ ঝড়-ঝঞ্ঝা উল্কাপাত পেরিয়ে,
সবিতার আবছা উষ্ণ রেখা নেহাতই ক্ষীণ।
হয়েছি হতাশ, এ যে সুখপাখি খোঁজার বৃথা চেষ্টা,
মরীচিকা সম লাগে সব, আকাশ ছোঁয়া
আকাশকুসুম কল্পনা নিয়ে।
বুঝলাম শেষে,
এক আকাশ ভালোবাসা যে উষ্ণতা আনে ঘরের কোনে,
নয়কো দূরে ঘরের মাঝেই চাঁদ আর সূর্য
স্নিগ্ধতা ও উষ্ণতা দানে মনে,
উদার মনে দীন জনের সেবা কাজে,
ভালোবাসার উষ্ণতা মন আকাশে সদা রাজে।