বিষ্ণু প্রভাকর (ঔপন্যাসিক, লেখক, সাংবাদিক)
বিষ্ণু প্রভাকরের জন্ম – ২১শে জুন ১৯১২ সালে মিরানপুর , আগ্রা এবং অউধের যুক্ত প্রদেশ , ব্রিটিশ ভারতে। তিনি ছিলেন একজন হিন্দি লেখক । তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক এবং ভ্রমণকাহিনী আছে। প্রভাকরের রচনায় দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ এবং সামাজিক উন্নতির বার্তা রয়েছে। তিনি হরিয়ানা থেকে প্রথম সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী ছিলেন ।
সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কার , ১৯৭৬ সালে ‘আওয়ারা মসিহার’ জন্য । অর্ধনারীশ্বর , আওয়ারা মসিহা -র জন্য তিনি ১৯৯৩ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার , ১৯৯৫ সালে মহাপণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন পুরস্কার এবং ২০০৪ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ (ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান) লাভ করেন ।
কাজের পাশাপাশি তিনি সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জাগিয়েছিলেন। তিনি হিসারে একটি নাটক কোম্পানিতেও যোগ দেন। ১৯৩১ সালে হিন্দি মিলাপে তাঁর প্রথম গল্প দিওয়ালি প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হয়। তিনি ১৯৩৯ সালে তাঁর প্রথম নাটক হাতিয়া কে বাদ লিখেছিলেন । অবশেষে তিনি একটি পূর্ণকালীন কর্মজীবন হিসেবে লেখালেখি শুরু করেন। সাতাশ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি তাঁর মামার পরিবারের সাথে ছিলেন। তিনি ১৯৩৮ সালে সুশীলা প্রভাকরকে বিয়ে করেন যিনি ১৯৮০ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর সাহিত্যের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে ছিলেন ।
ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ ১৯৫৭ পর্যন্ত আকাশবাণী, অল ইন্ডিয়া রেডিও , নয়াদিল্লিতে একজন নাট্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি সংবাদ তৈরি করেছিলেন যখন ২০০৫ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে অসদাচরণের সম্মুখীন হওয়ার পরে তার পদ্মভূষণ পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ।
তিনি ‘বিষ্ণু’ থেকে ‘বিষ্ণু প্রভাকর’ হয়েছিলেন কীভাবে?
মিরাপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার নাম ‘বিষ্ণু দয়াল’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। আর্য সমাজ বিদ্যালয়ে ‘বর্ণ’ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দেন – ‘বৈশ্য’। শিক্ষক তার নাম রাখলেন ‘বিষ্ণু গুপ্ত’। তিনি যখন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন, তখন অফিসাররা তাঁর নাম পরিবর্তন করে ‘বিষ্ণু ধর্মদত্ত’ রাখেন কারণ অফিসে অনেক ‘গুপ্ত’ ছিল এবং এটি অফিসারদের বিভ্রান্ত করে। তিনি ‘বিষ্ণু’ কলম নামে লিখতে থাকেন। একবার একজন সম্পাদক জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি এত ছোট নাম ব্যবহার করেন কেন? আপনি কি কোনো পরীক্ষায় পাস করেছেন?” বিষ্ণু উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি হিন্দিতে ‘প্রভাকর’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এভাবে সম্পাদক তার নামের সাথে প্রভাকর যুক্ত করে ‘বিষ্ণু প্রভাকর’ করে দেন।
বিষ্ণু প্রভাকর নয়াদিল্লিতে কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর ১১ই এপ্রিল ২০০৯ সালে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। তিনি হার্টের সমস্যা এবং মূত্রনালীর সংক্রমণে ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুশীলা প্রভাকর ১৯৮০ সালে মারা যান। প্রভাকর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার ছেলে অতুল প্রভাকর এবং অমিত প্রভাকর তাদের বাবার শেষ ইচ্ছা হিসাবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস , নয়াদিল্লিতে তার দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেন ।
[তাঁর গ্রন্থপঞ্জি]
উপন্যাস
——————–
ধলতি রাত, ১৯৫১ সাল
নিশিকান্ত, ২৯৫৫ সাল
তাত কে বন্ধন,
দর্পণ কা ব্যাক্তি, ১৯৬৮ সাল
পারছাই, ১৯৬৮ সাল
কোই টু, ১৯৮০ সাল
অর্ধনারীশ্বর, ১৯৯২ সাল
গল্পের সংগ্রহ
——————–
এক কাহানি কা জনম (এক গল্পের জন্ম) (তার প্রেমের গল্পের সংগ্রহ), ২০০৮ সাল
আদি অর পিঁপড়া, ১৯৪৫ সাল
রেহমান কা বেটা, ১৯৪৭ সাল
জিন্দেগি কে থাপেদে, ১৯৫২ সাল
সংগ্রাম কে বাদ, ১৯৫৩ সাল
ধরতি আব ভি ঝুম রাহি হ্যায়, ১৯৫৯ সাল
সফর কে সাথী, ১৯৬০ সাল
খণ্ডিত পূজা, ১৯৬০ সাল
সাঁচে অর কালা, ১৯৬২ সাল
মেরি তেন্তিস কাহানিয়া, ১৯৬৭ সাল
মেরি প্রিয়া কাহানিয়া, ১৯৭০ সাল
পুল টুটনে সে পেহলে, ১৯৭৭ সাল
মেরা ওয়াতন (আমার ওয়াতন), ১৯৮০ সাল
মেরি লোকপ্রিয়া কাহানিয়া, ১৯৮১ সাল
মেরি বদ্রিনাথ যাত্রা
খিলোন, ১৯৮১ সাল
আপনার কৃপা (ছোট গল্প), ১৯৮২ সাল
মেরি কাহানিয়া, ১৯৮৪ সাল
মেরি কথাযাত্রা, ১৯৮৪ সাল
এক অউর কুন্তি, ১৯৮৫ সাল
জিন্দেগি এক রিহার্সাল, ১৯৮৬ সাল
কবিতা
——————–
চালতা চালা যাওঙ্গা, ২০১০ সাল
নাটক
——————–
নপ্রভাত, ১৯৫১ সাল
সমাধি (গান্ধর কি ভিক্ষুণী), ১৯৫২ সাল
ডাক্তার, ১৯৬১ সাল
যুগে-যুগে ক্রান্তি, ১৯৬৯ সাল
টুট-তে পরিবেশ, ১৯৭৪ সাল
কুহাসা অর কিরণ, ১৯৮৫ সাল
তাগর, ১৯৭৭ সাল
বন্দিনী (बंदिनी), ১৯৭৯ সাল
সত্তা কে আর-পার, ১৯৮১ সাল
আব অর নাহিন, ১৯৮১ সাল
শ্বেত কামাল, ১৯৮৪ সাল
কেরল কা ক্রান্তিকারি, ১৯৮৭ সাল
বিষ্ণু প্রভাকর : সমগ্র নাটক (পর্ব-১,২,৩), ১৯৮৭ সাল
অন্যান্য রচনা
—————————-
জানে আনজানে, ১৯৬১ সাল
কিছু শব্দ : কিছু রেখায়েন, ১৯৬৫ সাল
আওয়ারা মাসিহা, ১৯৭৪ সাল
অমর শহীদ ভগত সিং , ১৯৭৬ সাল
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল , ১৯৮৬ সাল
স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী , ১৯৭৮ সাল
ইয়াদাউন কি তীর্থযাত্রা, ১৯৮১ সাল
শুচি স্মিতা, ১৯৮২ সাল
মেরে অগ্রজ: মেরে মিট, ১৯৮৩ সাল
সামন্তর রেখায়েন, ১৯৮৪ সাল
হাম ইনকে রিনি হ্যায়, ১৯৮৪ সাল
মেরে হামসাফর, ১৯৮৫ সাল
রাহ চলতে-চলতে, ১৯৮৫ সাল
কাকা কালেলকর , ১৯৮৫ সাল
প্রবন্ধ
—————
জন-সমাজ ও সংস্কৃতি : এক সামগ্রিক দৃষ্টি, ১৯৮১ সাল
কেয়া খোয়া কেয়া পায়া, ১৯৮২ সাল
শিশুসাহিত্য
——————–
ইমানদার বলাক
মোটে লাল, ১৯৫৫ সাল
কুন্তি কে বেটে, ১৯৫৮ সাল
রামু কি হোলি, ১৯৫৯ সাল
দাদা কি কাছেহারি, ১৯৫৯ সাল
শরৎচন্দ্র, ১৯৫৯ সাল
জব দিদি ভূত বাণী, ১৯৬০ সাল
জীবন পরাগ, ১৯৬৩ সাল
বঙ্কিমচন্দ্র, ১৯৬৮ সাল
অভিনব একাঙ্কি, ১৯৬৮ সাল
অভিনয় একাঙ্কি, ১৯৬৯ সাল
স্বরাজ কি কাহানি, ১৯৭১ সাল
হাডতাল, ১৯৭২ সাল
জাদু কি গায়, ১৯৭২ সাল
ঘামন্দ কা ফল, ১৯৭৩ সাল
নুতন বাল একাঙ্কি, ১৯৭৫ সাল
হিরে কি পেহচান, ১৯৭৬ সাল
মতিয়ন কি খেতি, ১৯৭৬ সাল
পাপ কা ঘাডা, ১৯৭৬ সাল
গুড়িয়া খো গেই, ১৯৭৭ সাল
Aise-Aise, ১৯৭৮ সাল
তপোবন কি কাহানিয়ান
পাহাড় চাদে গজানন্দ লাল, ১৯৮১ সাল
বলবর্ষ জিন্দাবাদ, ১৯৮১ সাল
খোয়া হুয়া রতন (খোয়া হওয়া রত্ন), ২০০৮ সাল
বিবিধ
——————-
বাপু কি বাতেন, ১৯৫৪ সাল
হযরত উমর ১৯৫৫ সাল
মেরি বদ্রীনাথ কি যাত্রা, ১৯৫৫ সাল
কস্তুরবা গান্ধী, ১৯৫৫ সাল
আইসে থাই সর্দার, ১৯৫৭ সাল
হা-দু-আল রশিদ, ১৯৫৭ সাল
হামারে পড়োসি, ১৯৫৭ সাল
মন কে জিতে জিত, ১৯৫৭ সাল
মুরব্বি, ১৯৫৭ সাল
কুমহার কি বেটি, ১৯৫৭ সাল
বাজিপ্রভু দেশপান্ডে, ১৯৫৭ সাল
শঙ্করাচার্য, ১৯৫৯ সাল
যমুনা কি কাহানি, ১৯৬০ সাল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯৬১ সাল
পেহলা সুখ : নিরোগী কায়া, ১৯৬৩ সাল
ম্যায় অছুট হুন, ১৯৬৮ সাল
এক দেশ: এক হৃদয়, ১৯৭৩ সাল
—————————————————————-
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত। তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া ]
হরিয়ানা, আপনার রাজ্য জানুন (২০২০ সাল)। হরিয়ানায় প্রথম । নয়াদিল্লি: অরিহন্ত। pp. অধ্যায় – ১, পৃষ্ঠা নং’ – ২. ISBN 978-93-13190-29-5.
ওয়েব্যাক মেশিন সাহিত্য একাডেমিতে ৫ই সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে আর্কাইভ করা হিন্দি-ভাষায় সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারের অফিসিয়াল তালিকা।
Aalekh Samvad, জুন ২০০৩ সাল
প্রভাকরের মৃত্যু হিন্দি সাহিত্যের এক যুগের সমাপ্তি (AOL India News).
বিষ্ণু প্রভাকর মারা গেছেন (হিন্দু)
বিখ্যাত সাহিত্যিক বিষ্ণু প্রভাকর মারা গেছেন (টাইমস অফ ইন্ডিয়া) রাহুল সাংকৃত্যায়ন পুরস্কারপ্রাপ্ত।