অস্তিত্বের প্রবল যন্ত্রণায় কিমবা
পরিশ্রান্ত শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
সযত্নে আমি বুনে চলেছি বিষবৃক্ষ….।
অমানিশার পায়ে শৃংখল দিয়ে
জং-ধরা অনুভূতিগুলোকে সাজাই
বিরামহীন হৃদয়ের সহস্র মোহাচ্ছন্ন আকুতির কল্পনায়….।
নিভু নিভু জ্বলে ওঠে বিষন্ন রাতের কুহেলিকা,
অস্ফুট স্বরে নিয়তি জানায় নিরন্তর আত্মসমর্পণ,
জীবনের পাতায় জমে গোপন ললাট লিখন….।
স্বপ্নের শরীরে ধরেছে পচনের নির্মমতা,
আর কল্পনার আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে
দুর্দান্ত, দুর্বিনীত এক অসুখ,
জর্জরিত, বিক্ষুব্ধ আত্মায় লেগেছে মাটি,
অস্তিত্বে ধরেছে সহস্র আকাঙ্ক্ষার ঘুনপোকা….।
তবুও জীবনের প্রতিটি ছন্দে-জাগরণে
প্রতিমুহূর্তে সঞ্চয় করে চলেছি বিষবৃক্ষের বীজ….।
হৃদয় মৃত্তিকার উর্বর পলিতে বুনে চলেছি
বর্ণিল এক অবিনাশী ক্লান্তি,
যার শিকড়ে সমর্পিত আমার নরকযাত্রা,
আমার রিমেকি ঝলমলে কাগজের উপত্যকা….।