ভাঙা টেম্পু করে এসে পড়েছি অনন্তে
সাথে দিদিরাও ছিল
কয়েক কিলোমিটার ধবধবে কাশবন
আর ইঞ্জিনের শব্দ— এরকম ঝামেলায় আর
কখনও পড়িনি।
আলো নেই
পাখি ডাকছে না, শুনে দিক ঠিক করে নেব
ফিসফিস করে যারা কথা বলে, তারা
ছোট ছোট পরি, নীল বেলুন ফাটিয়ে
বেড়িয়ে পড়েছে
এদের কখনও যদি একটাকে ধরতে পারি, বাড়ি নিয়ে যাব
তাকানো মাত্রই লুপ্ত হয়ে যায়, হয়তো এমন
ওপরের থেকে নির্দেশ রয়েছে।
দেখি একটি মুরগি— আকাশি-খয়েরি
হেঁটে যায়, আর
তার গায়ে আলো এসে পড়ে
হেঁটে যায়, আলো লীলা করে পেছনে পেছনে।
আমি ধরে ফেলি সমস্ত চালাকি
এই সেই মুরগি, বাবা এনেছিল
হাতে করে ছোলা শাক বাদামের খোসা খাইয়েছি
ভাইবোন সব জড়ো হয়ে এক রবিবার কেটে খাব—
ঠিক ছিল
আমি থামাই ইঞ্জিন— নেমে ছুটে যাই
দড়ি ছিঁড়ে পালিয়েছ; আজ ধরবই
সে মুহূর্তে ওপরের থেকে আলো তুলে নেওয়া হয়
আমি বুঝে ফেলি
অনন্ত না ছাই
আমি, কাশবন আর বিলুপ্ত মুরগি।
এরকম ঝামেলায় আর কখনও পড়িনি