শুদ্ধতায় ঋদ্ধ হোক বিবর্ণ সময়
যত কিছু পাপ তাপ যা করার করে নাও
কেউ নেই হিসেব নেবার।
ঋদ্ধিমান মানুষেরা হয়েছে লাগামছাড়া
লুট করে নিয়ে যায়, জাতীয় সম্পদ,
এমনকি অন্তর্বাস, হাতা বেড়ী কড়া খুন্তি সব
টেবিল চেয়ার কমোড বেসিন আয়না মগ
শাড়ি টাও জড়িয়ে নেয় দেহে, ব্যাগে আর ধরেনিকো তাই।
জামা জুতো টুকরো টাকরা সূঁচ সুতো সেলাই
যত্নে ঘরে গুছিয়ে রাখা যেসব জিনিস সব কিছু চাই।
যে ছিলো জাতির পিতা মাথায় মারে হাতুড়ির ঘা
টেনে নামাতে হবে বীর সন্তানদের পথের ধূলায়।
অনেক লড়াই করে করে স্বাধীনতা এনে দেওয়া
এক মুঠো ক্ষীর, পচে গিয়ে বিস্বাদ হলো
মা জননী পর্যুদস্ত দেশত্যাগী হলো,
অসহযোগ আন্দোলনের ফল।
সারাবিশ্বে একাকী এগিয়ে গিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন
উন্নয়ন আর অন্তহীন উন্নয়ন,
চোখ ধাঁধানো সেতু আর নবনির্মান
মেট্রোরেল হাসপাতাল স্টেডিয়াম
কপালে সইবে কেন, ভাঙ সব ভাঙ।
উৎসন্নে পাঠিয়ে দে, লুটপাট কর
জাতীয় সম্পদ সব কি হবে সাজিয়ে রেখে
যে যার ভাগের টুকু নিয়ে যায় ঘর।
অপরিনামদর্শী আন্দোলনের ফল
দেশকে পিছিয়ে দেয় বিশটা বছর।
হিংসা লালসা ক্রোধ বীরত্বে বিপুল
স্তব্ধ হয়ে গেছে লোক নিরন্ন গোকুল
হত্যা করে পড়শী কে লুট করে নিয়ে যায় সব।
দোকান জ্বালিয়ে দেয় দেবস্থান ভেঙে দেয়
অপহরণ ধর্ষণ আর বলাৎকার লুঠ
সবই চলে একসাথে বিপ্লবের হাত ধরে
বাহিনী নিশ্চুপ। জেলের দরজা খোলা
অপরাধী পালায় দূরে, পুলিশের ভুল।
হয়তো আবার লোক শান্ত হবে
লুটপাট হানাহানি বন্ধ হবে
লুঠেরারা শাস্তি পাবে নতুন প্রভাত।
দেখা যাক, সময় বলবে সব
ভাঙাগড়া প্রকৃতির রব
কেউ মোছে চোখের জল
কারো উল্লাসের ফল
জীবন এগিয়ে চলে অমৃতে গরল।।