দুখু মিঞার জন্ম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে,
বিশ্ববাসী জানে তাঁকে কাজী নজরুল ইসলাম নামে।।
দশ বছর বয়সে মোক্তবে প্রাইমারি পরীক্ষা দেন,
বারোবছর বয়সেতে দুখু মিঞা লেটোর দলে যান।।
আঠারো বছর বয়স যখন প্রিটেষ্ট পরীক্ষা দেন
পড়াশোনাটা স্হগিদ রেখে সেনাবাহিনীতে তিনি যান।।
হাবিলদার হয়েই নানান পত্রিকা,কবিতা লেখেন,
নজরুল তিনহাজারের বেশি গান রচনা করেন।।
শত বাঁধা বিঘ্নের মাঝে কখনো হন নি গতিহারা
সকল সময়ে চলেছিল তাঁর কলমের ক্ষুরধারা।
স্বদেশপ্রীতি ব্যক্ত ছিল তাঁর প্রতি কবিতায়,সঙ্গীতে
ঈশ্বর প্রেম প্রকাশ করতেন বাঁশির সুরে ও গীতে।
ছড়িয়ে ছিলেন চতুর্দিকেতে মহামিলনের বাণী
দূর করেন ভারতবাসীর ভেদাভেদের সব গ্লানি।
তাঁর উপন্যাস মৃত্যুসুধা, কুহেলিকা ও বাঁধনহারা
কাব্যগ্রন্হ লেখেন বহু অগ্নিবীনা সঞ্চিতা সর্বহারা।।
বিষেরবাঁশি, অগ্নিবীণা পাঁচটি বই বাজেয়াপ্ত হয়,
তিনি বিদ্রোহী কবিতা লিখতে কখনো পেতেন না ভয়।।
তিনিই ছিলেন আলোর সেতু সাম্য প্রীতি বেদ কোরান,
কুয়াশা,মেঘ,ঝড় বৃষ্টি রৌদ্রে উচ্চ শির মহৎপ্রাণ।।
নজরুল ছিলেন জাতীয় কবি জাতির আশার আলো
আরবী ,ফারসী,উর্দু ভাষা ও জানতেন বেশ ভালো।।
নজরুলের মুখেতে ভেসে ওঠে বাংলাদেশের ছবি
তুমি ছিলে গো সবার প্রিয় সকল মানুষেরই কবি।।
জগত্তারিনী,পদ্মভূষণ,ডিলিট,একুশে পদক পান
নজরুল ঊনিশের ছিয়াত্তরে ঢাকায় মারা যান।।
তোমার চরণে প্রণাম জানাই মহাকবি নজরুল।
ক্ষমা করে দিও অজ্ঞাতেই যদি করে থাকি কোনো ভুল।