ঘরের বাইরে বেরোতেই নীরব উঠুন
সতেজ ফুলগাছে রঙিন স্বপ্নের বুনন;
রাস্তার ধারে সবুজ ঘাসের শান্ত হাসি
সবই আছে রাশি রাশি;
তবু বেদনার ইশারা দিয়ে যায় এ কোন নিষ্ঠুর বাঁশি?
প্রতিদিনের প্রভাতে যার সাথে হয় দেখা
চলে গেল সে; দিয়ে গেল ব্যথা
নিরবে কেঁদে ভাসে পতিত মৃত্তিকা,
সবাইকে কাঁদিয়ে কাউকে কিছু না বলে
গেল চলে বিদ্যুৎ নিল বিদায় একা।
ভোরের হাওয়ায় হিমেল বাষ্পে
তোমার মৃত্যু সংবাদ স্তব্ধ করে দিল প্রেরণার খাতাকে
যেন সূর্য খসে পড়ে
পৃথিবী অন্ধকার হয়ে হয়ে যাওয়া স্তব্ধতা,
মেনে নেওয়া যায় না এই আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ।
এই মানতে না পারা অন্ধকার পাড়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে
আমার অগ্রজ কবিতার রচনায় তোমাকেই মনে পড়ে
যেখানেই থাকো ভালো থেকো বিদ্যুৎ,
থেকো মোর অন্তরে।
তোমার অকাল প্রয়াণ
শোকের গভীর সমুদ্র করেছে রচনা
আকাশ সমান ভাষার সাক্ষী দেবো বলে তোমায়
যাওয়ার কালে নীরবে পথ নিলে বেছে
বিধাতার প্রতি একটি বারও তুমি করিলে না মানা।