তোমার শুন্য আসনে আজ কারে বসাই আত্মজন
স্মৃতির আঙিনায় খেলে বেড়াই শুধুই দুঃখের উচাটন।
শিশুকাল থেকে বেড়েছি অন্বেষনে বুকেতে প্রতিচ্ছবি,
আজ অভিভাবক শূন্য,একাকী,দিনগুলি দূতিহীন রবি।
” পিতা স্বর্গ,পিতা ধর্ম পিতরী পিতিমা পণ্যে ….”
রক্তের বড় টান, কোষে,কোষে অভিমান খুঁজি হয়ে হন্যে,
মন আঙিনায় লেপ্টে চরণ চিন্হ ,এখনও তোমারই স্পর্শ
ছুটে,ছুটে আসি বাড়িময় খুঁজি তোমার মুখের হর্ষ ।
কত শ্রদ্ধা, তুমি বাবা আরাদ্ধ,ছিলে বটবৃক্ষের ছায়াসম
শিশু থেকে যৌবন তুমিই আমার বীর নাবিক,পরম শ্রেষ্ঠতম।
আমার শিক্ষা,চেতনা,প্রেরণা,আমার প্রতিষ্ঠা বেড়ে ওঠা
তোমার আশিসে আজও মাথাউচু ,বেদকাব্য উপদেশ হেথাহোথা।
তোমার আত্মত্যাগের ফসলে আজ আমি সুখে খাই,
তোমার জড়িয়ে ধরে খোকা ডাক আজ কোথাও নাই।
স্নেহগুলি হয়নি বাসি ,একসাথে হাঁটতে আজও ভালোবাসি
আজও দুটি অদৃশ্যহাতে আশীর্বাদ ছড়াও রাশি,রাশি।
আমার বাবা বড্ড ভালো গোবেচারা, বড় সাধারণ
বড় অভাবী ,বড় বিনয়ী ,বড় ছেঁড়া-ফাটা তার আভোরণ।
পেতে খিদে মুখে হাসি ত্যাগের আশ্চর্য উদাহরণ-
সুখের সময় সব মায়া ছেড়ে চলে গেলেন অকারণ ।
আজ পথে,পথে প্রতি পদক্ষেপে খুঁজে চলি ওই মুখ
দিনের শেষে ক্লান্তি নিয়ে তার ছবিতেই পাই সুখ।
জনম ,জনম তোমার ঔরশেই আমার জন্ম যেন হয়-
তোমার কোলে বড় হয়েই সকল দুঃখ করবো জয়।