সিদ্ধ পাষাণ হরিসাধন লাহিড়ির সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল ট্রেনে। পুরী-পাটনা

পৌত্তলিক গাড়ি থেকে নেমে শুভব্রত টাইয়ের গিঁটটা আলগা করে নিল।

স্মার্ট গাই চোখ মেলে সত্যেন চ্যাটার্জি চারদিকে ঘন অন্ধকার ছাড়া

ক্যালভেরি বাজারে জোর গুজব এক নির্দোষ ব্যক্তিকে জেলে বন্দি করে

স্বৈরিণী থলে দুটো দাও, বাজার যাব। একটু কুচো চিংড়ি এনো

প্লুটনিক শীতকালে বৃষ্টি বড়ো বিরক্তিকর। ঘরে বসে তবু একরকম। কিন্তু

বেহুলার ভেলা দীর্ঘ পনেরো বছর পর এক কৃতজ্ঞ মক্কেলের নিবন্ধাতিশয্যে

করুণা তোমার ঠাকুরমার ঝুলি-র ছোটোরানি আছাড় খাইয়া পড়িলেন-এর মতো দৃশ্যটা।

অন্য ভাই (Anya Bhai) শমী এসেছে আগে। ধৈর্য ধরতে না

তীর্থযাত্রার চম্পূ ওরা কিছুতেই যাবে না এবং আমরা প্রবল চেঁচামেচি

ব্রহ্মহৃদয় অনেক আছে, তবু কিছু নেই। অনেক লোক তবু যেন

অনিকেত অদ্ভুত একটা কিনকিন কিরকির আওয়াজ করতে করতে দেয়াল ঘড়িতে

দুই বুড়ো দুই বুড়ো। একজন ছিয়াত্তর, একজন ঊনআশি। ঊনআশি সরকারি

অবস্থান ওয়াজিদ? ওয়াজিদ আলি শা? খিদিরপুরে থাকেন বললেন না? কেমন

রোমান্স অবসরের জীবনে ধীরে-সুস্থে রয়ে বসে উপভোগ করার মতো জিনিসের

সমুদ্র ছেলেবেলায় আমরা ছিলুম গরিব। কিন্তু একদম ছোটোদের ঐশ্বর্য সম্পর্কে

নাগিনা সনাতনের বউটার চটক আছে। কথাটা সবাই বলছে। টিভি-তে ফিলিমের

সবর্ণ সবেমাত্র আলোটা জ্বেলে দিয়ে সারাদিনের পর একটা পত্রিকা হাতে

হারান-প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ মেজদার ছেলে অমুর ছবিটা টিভি-তে এলো মঙ্গলবার। মেজোবউদি

জোলি চেপ এদিকটায় মারোয়াড়ি এসে কপালখানা স্রেফ খুলে গেছে জলি

লিখন ব্রজকিশোরবাবু মধ্যম দৈর্ঘ্যের গাঁট্টাগোট্টা চেহারার মানুষ। বেশ গোঁফ আছে।

চারপর্ব তিতুকে আমরা অনেক পরিকল্পনা করে, অনেক অঙ্ক কষে এনেছিলাম।

জ্যোতির্ময়ী গুহ গত কয়েকদিন ধরেই অদ্ভুত ফোন আসছে। ভুতুড়ে ফোন।

গোলাপি ঘর আমরা খুব খুউব দুষ্টুমি করলে আমাদের মা একটা

শুনঃশেফ আমার নাম যতি। জ্যোতি নয়। যতি। বর্গীয় জ আর

হিসেবের বাইরে থলের মুখটা বড়ো করে ধরেছেন উমাপদ। মুলো, বেগুন,

বন্ধু হাওড়ার ফ্যাক্টরি থেকে সোজা গেছি আমহার্স্ট স্ট্রিটে। সেখান থেকে

বাচ্চু কেন ফিরে এল সুস্মিতার স্বামী অলকেশ যখন স্কুটার অ্যাকসিডেন্টে

অপত্য ব্যায়াম সমিতি থেকে ফেরবার পথটা অর্থাৎ শর্ট-কার্টটা একেবারে কাদা-জলা

নাফা শামতাপরসাদ। না, যাঁকে শান্তাপ্রসাদ তবলিয়া বলা হত, তিনি নন।

ইউলিসিসের কুকুর There, full of vermins he lay abandoned on

আবেশ বাঁড়জ্যেদের বাড়ির অলকার উপর তারা-মার ভর হয়েছে শুনেছ গো?–ও

মর্তুকাম দীপ্তটা মারা গেল। আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু দীপ্ত, আজকাল যাকে

পথিক বন্ধু গাঢ় নীল আকাশ। মেঘলেশহীন। কালোর নানান শেড দিয়ে

ওতুলের প্রতিদ্বন্দ্বী ওতুল নিজেকে গুঁই বলে না, ইংরেজি বানান অনুযায়ী

সেই লোকটা লোকটাকে সে প্রথম খেয়াল করে হুগলির ডি, আই

পিঁপড়ে কাদাগোলদিয়া গ্রামে একটা খুন হয়ে গেল। খবরের কাগজে খুন

কাকজ্যোৎস্না এই পাখিটাকে বোধহয় কেউ পছন্দ করে না। কেউ না।

ক্যালকাটা মকটেল ২০০৩-এর আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ফোটোগ্রাফটি সর্বদেশীয় বিচারকমণ্ডলীর দৃষ্টি

আকাশে পাখিরা কলেজ জীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অবনীশ আর সীতার সঙ্গে

গৃপ্রকূট বোধগয়া থেকে ছেষট্টি কিলোমিটারের মতো অ্যামবাসাডরে। তিনটি জাপযুবক, একটি

মিসেস তালুকদারের বন্ধু মিসেস তালুকদারের কোনো বন্ধু নেই। কী করেই

মোহানা সুরম্য ঘোষাল এবার বড়োদিনের পর বহু নববর্ষের চিঠির মধ্যে

আসন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল। দরদাম, দলিলদস্তাবেজ, ইনকামট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স, সব।

মড়া বড়ো কৌটোর মধ্যে মেজো কৌটো, তার মধ্যে সেজো কৌটো,

সুরূপা-স্বরূপা জ্ঞান হয়ে থেকে আমি আমার মাকে দেখিনি। শুনেছি, আমি

মাহ ভাদর শহরের অবিরাম ঘূর্ণমান কর্মচক্রের কেন্দ্রবিন্দু থেকে অনেক দূরে

শতাব্দী এক্সপ্রেস হ্যাঁরে বদ্যিনাথ, দাদা কি চলে গেছেন? হ্যাঁ বউদি,

নকশা শুনেছিস? অরি বিশ্বাস বেপাত্তা—সুদেব সরকার বলল সমীরকে, এখনও পাবলিক

পরমা কর্মস্থল পুনে। কলকাতায় জন্ম হলেও কর্ম নয়। পনেরো বছরেরও

বুড়ো মানুষ বাড়ির সামনে চৌকোনা জেন্টস রুমালের মতো একটুখানি লন।

একটা ছোটো মেয়ে লোকে বলে আমি একটা ছোটো মেয়ে। এ

পিসিমা ব্রাহ্মণ ভোজন গতকাল হয়ে গেছে। এলাহি লোকজন। আজ নিয়মভঙ্গ।

আত্মজন বাড়িতে আদ্যিকালের দেয়ালঘড়িখানায় ট্যাং ট্যাট্যাং ট্যাং করতে করতে বেলা

নন্দিতা শুনছ? শুনছ? ওঠো না গো একবার!! মাঝরাত্তিরে নন্দিতার ঠেলাঠেলিতে

পঁচিশ শো-র এঞ্জেল সিটিতে এঞ্জেল সিটির ফর্টিসেভেনথ স্ট্রিটে অর্থাৎ শহরের

পরমায়ু কুঞ্জ মাঝির চক্ষু দুটি গেল। পুরোপুরি নয়। রোদ থাকলে

কাঁটাচুয়া ডক্টর প্রণব নাথ একজন বছর তেত্রিশের এমবিবিএস ডাক্তার, নিজের

গন্ধ দূরে সরে বসলে কেন? এমনি। এমনি? আমায় ভয় করো?

বলাকা সত্যপ্রিয় চট্টোপাধ্যায় ওরফে কর্নেল চ্যাটার্জির বয়স আটান্ন পার হল