য়িশ বছরের পর এলে তুমি । তোমার আদুরে ভাষা পালটে গিয়েছে
বারবার । জানি তুমি শুভ্রা রায় নও । ওরকমভাবে একঠায়ে
সারাদিন মাথানিচু করে বসে থাকো । আমার চুলেতে পাক
ধরে গেছে । শেখাও তোমার ভাষা এইবার । দেখি কীরকম
ঠোঁট নড়ে । না্ভি খিল-খিল কেঁপে হেসে কুটি হয় । যুবকেরা
ঘিরে থাকে বহুক্ষণ তোমায় আড়াল করে । কিসের কথা যে এতো হয়
কিছুই বুঝি না । অন্তত কুড়ি বছরের ছোট হবে তুমি ।
জানি না কাদের জন্যে অন্ন আনাজ সংগ্রহে আজ এলোচুলে
নেমেছ বাজারে । লুবাতাসে রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাবে শেষে ।
তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কী্যাবে বাসায় ফেরো ? ওই যুবকেরা
ছাতা ধরে মাথার ওপরে? বাড়ি ফিরে ভিজে চুল বোধহয় শোকাও একা ।
সকালে কি রান্না করে আসো ? সেগুলোই রাতে খাও?
শরীর খারাপ হলে কারা দ্যাখে? কে কাপড় কাচে?
আমার সন্ত্রাসবাজি রাহাজানি লুটমার থেকে জানি তোমার দুনিয়া
আলাদা একদম । তোমাকে নিজের নাম বলতে পারি না আমি ।
যদি ঘেন্না করো । জেনে যাও কী-কী করি, ভয় পাও ।
কতদিন ইচ্ছে হয় সামান্য ইশারা করে আমার দলের লোকেদের
তোমাকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিতে বলি ।
দাঁড়াবে আমার সামনে এসে তুমি । বলবে, ‘আমাকে যেতে দিন’ ।