আড়িপাতা স্বভাবে একচোখা লোক
ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে শাপে বর হোক ।
হরিহর আত্মা একসাথে রয়
শাঁখের করাত কাটে মনে শুধু ভয় !
সবুরে মেওয়া ফলে সকলেই জানি
কৌশলে ধরি মাছ না ছুঁই পানি ।
বিড়াল তপস্বীর মায়াকান্না
বিনা মেঘে পড়ে বাজ ,কেউ চান না !
সোনায় সোহাগা তবু হলো ভরাডুবি
কলির সন্ধ্যা হয় ,ভোর আজগুবি !
আষাঢ়ে গল্প শুনে আকাশ কুসুম
অন্ধের যষ্টির উড়ে গেছে ঘুম ।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি আঁতে দেয় ঘা
কাদা ছোড়া সভাতে ঘোড়া ডিম খা ।
ডাকাবুকো ছেলেটার ঠোঁটকাটা বোল
তুলসী বনের বাঘ পাল্টায় ভোল !
গভীর জলের মাছ টাকার কুমীর
জিলিপির প্যাঁচ জানে সাজে মহাবীর !
ধর্মের ষাঁড়টির ঝোড়োকাক বেশ
পাকাধানে মই দিলে হয়ে যাবে শেষ !
কত ধানে কত চাল আগে বুঝে নাও
শিরে সংক্রান্তি সাবধানে যাও ।
বাস্তুঘুঘু এক বকধার্মিক
মেঘ না চাইতে জল অস্বাভাবিক !
হাতের পাঁচ যদি নয়ছয় হয়
লঙ্কাকান্ড বাঁধে গুড় বালিময় !
পুঁটি মাছ কই মাছ প্রাণে বিপরীত
কূপমণ্ডুকতা একচোখা প্রীত !
অকালকুষ্মান্ড ননীর পুতুল
বাঘের দুধ ! সে তো ডুমুরের ফুল ।
চোখের চামড়া ঢাকা চোখের বালি
অমাবস্যার চাঁদ হোক এক ফালি ।
কথার কথা বলি কপাল ফেরা
গোবরে পদ্ম ফুল নয় গায়েপড়া ।
দহরম মহরমে গোবর গণেশ
জলের আল্পনা ক্ষনিকেই শেষ ।
হরিঘোষের গোয়ালে বিদুরের খুদ
ভস্মে ঘি ঢালা মগের মুলুক ।
কাটা ঘায়ে দাও যদি নুনের ছিটে
কেঁচো খুঁড়তে সাপ ঘুঘু চড়া ভিটে ।
হাড় ভাঙা শরীরে হাড় জুড়ানো
ব্যাঙের সর্দি সে তো বহু পুরানো !
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো জগাখিচুড়ি
ডান হাতের ব্যাপারটা খুব জরুরী ।
বাঁ হাতের ব্যাপারে গৌরচন্দ্রিকা
মরা হাতি লাখ টাকা লিখি পাদটিকা ।
দু-নৌকায় পা দিয়ে উভয় সংকট
অহি নকুল সম্পর্কে দাও চম্পট ।
গাছেতে কাঁঠাল দেখে গোঁফে মাখি তেল
আক্কেল সেলামিতে উঠে গেছে ফেল ।
চোখেতে সর্ষে ফুল দেখি ঠান্ডায়
হ য ব র ল হোক কড়ায় গন্ডায় !
আঠারো মাসে যদি বৎসর হয়
জানি সবে পেটে খেলে তবে পিঠে সয় ।
ভক্তি অতি হলে চোরের লক্ষণ
অমূল্য বাগধারা প্রবাদ প্রবচন ।