বিকেল বেলাশূন‍্য মাঠে দাড়িয়ে ফসল কাটা রোদনিরবতা কেবল পথ বিচরণ

তুমি নেই কাছে দুরথেকে গেছোযেখানে স্বপ্নের নদী বাঁক নেয়জ‍্যোৎস্নার ধানমাঠরোদের

বারান্দায় নামছে অবেলাপাখি বোঝে নাকিন্তু তার কথা কেউ বুঝে নাবুজতে

প্লাটাছে আকাশ,বাতাস,আলোআশা,প্রত‍্যাশাওতবু বাঁচতে হয়ইচ্ছে অনাচ্ছার ভেতরপথ ঘাট বাড়িঘর আত্মীয়সরে যাচ্ছে

রোদের থাকে ফড়িং মনথাকে স্বাদ হারাতে বাতাসের মাঠেযেখানে মেঘেদের বাগানরামধনু

সত‍্য কিংকর চট্টোপাধ্যায়পরনে গান্ধী ধুতি,হওয়াই চপ্পলজ‍্যামিতি,পরিমিতি,ছেদবিন্দুপাটিগণিতের বিভুতি নিয়েতার মস্ত পৃথিবীসূর্যের

লিখছি অসংখ্য রোদফুলদের বাগান,গন্ধের ভ্রমরাবাতাসপাখি কোলাহলমেঘ আমাদের মাবৃষ্টি ঝাঁপি নিয়ে

খেলনা হলেও, খেলনা নয়একটি প্রতিবিম্ব ছায়াজলে সাঁতারে ওঠেআবার গভীরে তলিয়ে

ঝরে পড়ে আমাদেরযত ভাল মন্দআলো,বাতাস,বিশ্বাসঅন্ধকার দেওয়ালে ঘুম নেইআকাশ,চাঁদ,নক্ষত্র পাড়ায়শূন‍্য থেকে

বাঁশি উদাস,সুরে বাজে না,বেসুরেওঝরে বুকুল বেলানাচে বিদায় আলোশরৎ,বসন্তের মাঠ পেরিয়ে

দুরে,কোথাও বাজছে বাঁশিছুট্টে বেরিয়ে আসিসেই প্রাচীন সুর,ঘরকন্নার গানতরঙ্গ খেলে যায়নিত‍্য

বাবা বলতেনভালোবাসার মানুষ ফিরে আসেনধৈর্য ধরতে শেখোদাড়িয়ে থাকি,ছায়াস্থির চোখেজানালার পাল্লা

ঝড় বাদলজানালার পাশে বসিনিষ্ঠুর অপেক্ষায়কি জানি কি হয়মেঘ পায়ে আসবে

বসে থাকে পাখিএকা একাযেমন চাঁদ জাগেকাতর অন্তর কাঁদেসে কথা বাতাস

বসে থাকে পাখিএকা একাযেমন চাঁদ জাগেকাতর অন্তর কাঁদেশুধু বাতাস বোঝেসে

ফলন না হলেথাকে না আর ধানজমিবাতাস নোটবুক স্বাক্ষরেথাকে নাপরাগ মিলনের

ছাতিমতলাভোর,খুব ভোরেতৃপ্ত ছায়ার আকাশসমস্ত তৃষ্ণার্ত পথ পেরিয়েডানার আকাশ শেষ হলেজল

চাঁদের চোখে কাজল দিলেআসে জ‍্যোৎস্নাঅন্ধকার মোম গলতে থাকেবাতাসের কানাকানিরাতের কন্ঠে

কোমরে দুলছে রোদ রঙের শাড়িবৃষ্টির গন্ধ নেইপৃথিবী কুকুরের জিববাতাস হবে

দেহ ভেঙে,অসংখ‍্য শরীরবাড়ে রাত,অন্ধকারওভেসে যায় দেহের লবনসময় মনখারাপের বাগানঅশ্রুপাখিগুলি হয়

কয়েকটি চৈত্রের যোগফলঅবশেষ থেকে যায়ঝরা পাতাদের আর্তনাদকাঁঠাল ফুলের গন্ধজ‍্যোৎস্না কলমআগুন

দাঁড়িয়ে ই থাকেএখন বৃদ্ধঝাপসা চশমা চোখেমর্চে ধরেছে হৃদয়েনন্দী পাড়ার পথটি

অমাবশ‍্যার চাঁদ আকাশেপোশাকের ধারাবিবরনি শেষ হলেঘরবাঁধে খুলি পাঞ্জরশব, আর শেয়ালের

সন্ধ‍্যা নিভলেনিঃশব্দতার শঙ্খ বাজেখড়.টালির ঘর থেকে ধুঁয়োধুঁয়োতে বাতাসের শ্বাস কষ্ট

ছয়টি পাখিদের বাসস্থান তাদের এক একটি আকাশআকাশের আয়তন সমান নেইতাদের

কড়ি নাড়ি,দুর গ্রাম পথ বেয়ে আসেটকমিষ্টি ফলশরীরের অসংখ‍্য দীন দারিদ্র্যের

তোমার বুকের জ‍্যোৎস্নায়চাঁদের সাঁতার জলকোমরে দুলছেআকাশ নীল শাড়িহাজার তরঙের নদীঅনুবাদ

রোদ্দুর মত ভাসছে মাছভিড় জমছে,চার পাড়ার লোকজনবাবুদের পুকুরে,ভেতরে জেগে ওঠেমাছরাঙা

সন্ধ‍্যা ঝরে পড়েবৈশাখপাতা,পায়রা রঙের আকাশ থেকেছেড়া চটি চপ্পলের অন্ধকারতার হাতে

তার পায়রা ওড়াচোখনীলশাড়ি, স্কুলব‍্যাগেনদী ঢেউ ঢেউ শরীরবুকে আশ্চর্য চাঁদবাসাআশ্বিনের নীল

খিদে ভুত না প্রেতনিজাত,ধর্ম,অছুত কিছু মানে নাএকই লাইনে দাড়িয়েঅর্ধেক নগ্ন,হাতে

মা একটি গ্রামদুঃখ,দারিদ্রতা ছিলসেও বড় সুখেরসারারাত জেগে থাকতেনএপাশ,ওপাশচাঁদের অশ্রু মুছিয়ে

তোর চলে যাবার পরআমি দুপুর, বৈশাখ একবসে থাকিপৃথিবীর কানা গলিতেছায়াও

বড়ো একা,বৈশাখের দুপুরবৃষ্টি বৃষ্টি মুখগুলি রাজহাঁসবারান্দার নদীজলেজলের গভীর থেকে তুলে

অনেক কথা থাকেবলা হয় নাহাওয়া পথ পারাপারের সময়বহে নিয়ে চলে

ফুরিয়ে আসেভোর,দিন সকালগুলোরোদ ক্ষণজীবীবেলা পশ্চিমের সূর্যআসছে সিংসহ দাবাদহ শরীর গাছপাতাঝরে

প্রতিদিন চৈত্রমাসনিঃশব্দ বলে কিছু থাকে নাশব্দ থাকেইরাতকলম লিখে ঝরাপাতার শব্দউল্কা

দাড়িয়ে আছিএকই জায়গায় ঘুরেফিরে সেখানেইমা,বুড়ি হয়েগেছেতুলসী পাতার সঙ্গে কথাহয় নামা

হৃদয়ের বর্ণপরিচয় হলেশরীরের পঠণ পাঠন সহজপাঠসিলেট পেনসিলের মননকাগজের কুটিকুটি চিন্তাছুঠির

শরীরে ধরছে অসংখ্য ফাটলবাদুড়ের মত ঝুলছে আয়ুমানচিত্রকতকিছু ই তো লোকে