শ্রদ্ধেয় জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু..
শেখ মুজিবুর রহমান মহোদয়,
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা আপনি।
বাংলা ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র হয়ে নেতৃত্ব দান করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের।
আপনার জীবন ইতিহাস মানেই
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস।
ছিলেন গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তি, এক বিশাল ব্যক্তিত্ব।
বাংলা ভাষা আন্দোলনের ভাষার চেতনাকে
বুকে ধারণ করেছিলেন আপনি,
আপনার চিন্তায় চেতনায় ছিল
মাতৃভাষার মর্যাদা ও স্বীকৃতি বিধানের সংকল্প।
এ ব্যাপারে আপনি আমৃত্যু ছিলেন আপোসহীন কঠোর।
তাই পাক প্রশাসন যখন উর্দু ভাষাকে
পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে,
তখন সেই অন্যায্য ঘোষণার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন আপনি।
পূর্ববাংলার বাংলাভাষী জনগণ
পাক শাসনের এই সিদ্ধান্ত
মেনে নিতে পারেনি একদম।
সম মর্যাদার দাবীতে তারা
আন্দোলন শুরু করে, আর
সেই আন্দোলনর নেতৃত্ব দিলেন আপনি।
দুর্বার দুর্দম মনোবলে বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান করলেন,প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে।
সোচ্চার হয়ে স্লোগান তুললেন, মাতৃভাষা বাংলা, রাষ্ট্রভাষা হোক।
আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি দল
রাস্তায় নেমে বাংলাভাষার দাবীতে উত্তাল আন্দোলন শুরু করে।
বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করলে রফিক সালেম বরকত আব্দুল জব্বার সহ
প্রচুর ছাত্র নিহত হয়।
রক্তস্নাত হয় বাংলাদেশের ভূমি, অনেক মায়ের কোল শূন্য হয়ে যায়।
ভাষা আন্দোলনের এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে তৈরী করা হয় শহীদ মিনার।
তুমুল প্রতিবাদী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পাক সেনাদল পিছু হটতে বাধ্য হয়।
জয় হয় বাংলা ভাষা আন্দোলনের।
উনিশশো একাত্তর সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ,
একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে বাংলাভাষা প্রতিষ্ঠা পায়।
উনিশশো নিরানব্বই সালে সতেরোই নভেম্বর ইউনেস্কো বাংলাভাষা আন্দোলন ও ভাষা কৃষ্টির অধিকারকে মর্যাদা জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা গভীর শ্রদ্ধার সাথে ভাষা শহীদদের স্মরণে উদযাপিত হয়।
মাননীয় আপনি এখন অনেক দূরে,
ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ভাষা আন্দোলনে আপনার অনন্য ভূমিকার জন্য ভাষা শহীদদের সঙ্গে আপনিও বাংলাদেশের জনতার মনে অমর হয়ে আছেন এবং থাকবেন চিরদিন, চিরকাল।