ফোঁস! ফোঁস! ফোঁস!
সহস্র ফণা তুলেছে বিষাক্ত সাপগুলো,
ছোবলে ছোবলে ছিন্নভিন্ন শৈশব-আর্তনাদে
চারপাশে শুনি বিষ্ময়ে অসহায় কান্না!
প্রভু, সর্প-সন্ত্রাসে অতিষ্ট মানব-সমাজে
এখনো কেন পাই না তোমার পদধ্বনি?
ফোঁস! ফোঁস! ফোঁস!
পৈশাচিক ভয়াল দংশনে বারবার কাঠগড়ায়
পদানত নিরীহ নদীতে উঠছে কেন ঝড়?
টালমাটাল প্রবাহ-ধারায় যেন স্পষ্ট লিখিত
গত জনমের রাশি রাশি দোষ!
অগোচরে সৃষ্ট এক পরিধির ভেতর দানবিক ত্রাসের
হা-রে-রে-রে আক্রমণে পাই আমিও কটু স্বাদ,
শিশুর পিতাই তখন ভীষণ কাঁদে আমার অন্তরে
আমার ভেতর মানুষটিও আছড়ে পিছড়ে মরে,
দেশান্তরে আমি-ও ছিলাম তেমন ত্রস্ত শিশু-
রক্তবন্যায় ভেসে ভেসে পেলাম খুঁজে খাদ।
দুঃসময়ের জঙ্গীপনার ছেলেখেলায় বিরোধিতার শক্তি খুঁজে
আশার-বৃক্ষে হই নি এখনো সফলকাম,
পথে ঘাটে হন্যে হয়ে ঘুরছে শয়তানেরা-
মানুষেরা তাই পাচ্ছে না মানবতার দাম!
ফোঁস! ফোঁস! ফোঁস!
বিষাক্ত সাপগুলোর অদৃশ্য ফণার সমুখ রণে
অবিচল থাকুক না মান ও হুঁশ,
শুধু শুধু কেনই বা বিনাযুদ্ধে যাব দিতে
পশ্বাধম জানোয়ারদের সহজতম খোরপোষ?