ফেসবুক
এখন ফেসবুক জামানা। সবাই এখন ফেসবুকেই আবদ্ধ। সামাজিক মাধ্যমে খুবই দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম এই ফেসবুক। এমনও জানা যায় ছোটবেলার স্কুলের বন্ধুকেও মিলিয়ে দেয় এই ফেসবুক।
ফেসবুকের কোন তুলনা নেই। একবার ঢুকলে কোথা থেকে যে সময় কেটে যায় বোঝাই যায় না। আবালবৃদ্ধবনিতা আজ ফেসবুকে জীবন কাটায়। যদিও কিছু স্কুলে এখনো ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে তবুও এমন প্রচুর স্কুল আছে যেখানে ক্লাশে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যায়।
আজকের গল্প এরকমের একটি স্কুল যেখানে বল্টু পড়ে ক্লাশ নাইনে। ক্লাশে মাষ্টারমশাই আছেন। বল্টু বসে আছে একদম পেছনের বেঞ্চে।
হঠাৎ বল্টু ফেসবুকের টাইমলাইনে লিখলো আমি স্কুলে আছি। ক্লাশ চলছে তবুও ফেসবুক করছি।
কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা মাষ্টারমশাই উত্তর দিলেন বল্টু ক্লাশের বাইরে গিয়ে কান ধরে দাঁড়া।
বল্টু ক্লাশের বাইরে গিয়ে দাঁড়ালো।
এর কিছুক্ষণ পর হেড মাষ্টারমশাই বললেন প্রবীণবাবু ভালো করেছেন। উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। আপনার মতো যদি সবাই শক্ত শিক্ষক হতো কি ভালোই না হতো।
বল্টুর বন্ধুরা বললো আরে বন্ধু তুই তো মজা করছিস চলে আয় ঠেকে সবাই আছি। জমিয়ে আড্ডা মারি।
আধঘন্টা খানেক পরে বল্টুর মা বললেন হারামজাদা যদি ক্লাশই না করিস তাহলে স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু সবজি নিয়ে সোজা বাড়ি ফিরে আয়। অন্য কোথাও গেলে পিঠে লাঠির বারি পড়বে বলে দিলাম। আড্ডা মারতে যাওয়া হচ্ছে।স্কুল বাদ দিয়ে আড্ডা মারতে যাওয়া বোঝাচ্ছি।
বল্টুর বাবা বোধহয় ওর মায়ের কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সাথে সাথে লিখলেন দেখো মিতালী তোমার গুণধর পুত্রের কান্ড। স্কুলে ক্লাশ চলাকালীন ফেসবুক করছে। কতো বড় সাহস হয়ে গেছে। আজ বাড়ি যেতে দাও ওর একদিন কি আমার একদিন। ও বোঝেনি আমি রেগে গেলে কতোটা মারাত্মক হতে পারি।
এতদূর পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। গোল বাঁধলো যখন বল্টুর গার্লফ্রেন্ড কমেন্ট করলো।
কি বললে! তুমি স্কুলে! এই যে সকালে বললে তুমি স্কুলে যেতে পারবে না তোমার ঠাকুমার খুব শরীর খারাপ। বাবা ঠাকুমাকে নিয়ে হসপিটালে গেছে। কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছ ঠাকুমাকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। তুমি তখন হসপিটালে যাচ্ছ গিয়ে বাবাকে বাড়িতে ফেরত পাঠাবে। আর তুমি ওখানে থাকবে।
এইসব দেখেশুনে ঠাকুমা আর চুপ করে থাকতে পারলো না বললেন
এই হারামজাদা ছোঁড়া আমি বাড়িতে বহাল তবিয়তে আছি আর তুই আমাকে হসপিটালের আইসিইউতে পাঠিয়ে দিলি। আমার অবস্থা এতোটাই খারাপ। বাড়ি ফের তোর ক্রিকেট ব্যাট তোর পিঠেই ভাঙবো। তারপর তোকেই আইসিইউতে পাঠাবো।
শুনে বল্টু……………..।।