হায়রে এমনই পোড়া কপাল বান্ধব তোর, এই
ঘিনঘিনে কাদা জলে আটকা পড়লি। জানতাম,
তুই ধবধবে ডানা মেলে
নীলিমায়, মেঘে মেঘে অবাধ ওড়ার
সাধ বুকে পুষে রেখেছিলি। সবচেয়ে
উঁচু কোনও পর্বত শিখরে
ক্ষণকাল ঠাঁই নিয়ে নানা দৃশ্যাবলী
দেখবি দু’ চোখ ভরে, স্বপ্ন ছিল তোর।
চিত্তহারী মোহন উড়াল ছিল তার। অকস্মাৎ
চারপাশ থেকে
অনেক বিষাক্ত দাঁত নখ তেড়ে এসে
বিঁধল ডানায়, তুই বোবা আর্তনাদে
কিছুক্ষণ ঘুরপাক খেয়ে
প্রায় নিশ্চেতন পড়ে গেলি কাদাজলে,
লা-ওয়ারিশ পুঁটুলি যেন। যে ডানায়
মানস সরোবরের জলধারা বয়ে
যাওয়ার নিশ্চিত কথা ছিল, যে চঞ্চুতে সরস্বত
চুম্বনের পদ্মমধু ঢেলে দিতে কী প্রবল আগ্রহী ছিলেন,
সে ডানা, সে চঞ্চু আজ পাকেচক্রে কাদায়্য গড়ায়।
এ শক্রতা, এ পতন মুখ বুজে মেনে নিবি তুই?
আটক থাকবি কৃমিপ্রসূ কাদাজলে সারাক্ষণ ওরে
চেয়ে দ্যাখ, উল্লাসের মতো রোদ ছড়িয়ে পড়েছে
সবখানে, ডানায় মেখে নে
রৌদ্রঝর্না-ধারা ফের উড়ে যা দূরের নীলিমায়
চোখে নিয়ে নিত্য আবিষ্কারের বিভাস।