প্লেবয়
মনু চুপ করে বসে ছিল ওর ঘরে। এমন সময় ওর একটা ফোন কল এলো। ও ফোনটা ধরল। ওপাশ থেকে একজন মহিলা কন্ঠের অধিকারিনী বললেন
হ্যালো, আপনি কি মনু বলছেন? আমাকে আপনার নম্বরটা দিয়েছে আমারই একজন বিশেষ বন্ধু আয়েশা। যার সাথে আপনি গত উইক এন্ডে ছিলেন ডেটিং করতে। আপনারা দীঘাতে হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ছিলেন। সবটাই আয়েশা আমাকে বলেছে। তা আপনার চার্জটা কত একটু বলবেন?
মনু হ্যাঁ, আমি মনু বলছি। উনি আপনাকে সবই বলে দিয়েছেন যখন চার্জটা বলে দেন নি? জানেন তো আমি একজন প্লেবয়। আপনার কিসের প্রয়োজন বলতে পারেন? আর হ্যাঁ আপনি আপনার নামটা কিন্তু বলেননি।
মহিলা আমার নামটা এখনই বলছি না। হ্যাঁ, আয়েশা আমাকে সবটাই বলেছে তবুও আপনার চার্জটা আপনার মুখ থেকেই শুনতে চাই। আমি এটাও জানি আপনি একজন প্লেবয়। প্লেবয়দের যে কারণে দরকার হয় আমিও সেকারণেই আপনাকে চাইছি। আয়েশার থেকে আপনার কথা শুনে আমি হর্নি হয়ে আছি। আশা করি আয়েশার থেকেও বেশি সন্তুষ্টি দিতে পারব আপনাকে।
মনু সবটাই বুঝলাম আপনার কথা। আয়েশা ম্যাডাম আপনাকে যে চার্জ বলেছে মানে একবারের জন্য আমার চার্জ পাঁচ হাজার টাকা আর সারা রাতের জন্য ত্রিশ হাজার। এছাড়া আমার খাওয়া-দাওয়া আর হোটেল খরচ সবটাই আপনাকে দিতে হবে।
মহিলা আমি আপনাকে একবার বা এক রাতের জন্য চাইছি না। কম করে গোটা দশদিনের জন্য চাইছি। ভালো লাগলে মানে আমাকে সন্তুষ্ট হলে পরে দিন সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মনু আপনি কি চাইছেন বলুনতো? ত্রিশ হাজার টাকা প্রতিরাত অনুযায়ী আমাকে দিতে হবে।
মহিলা ওকে, আমি রাজি। আপনি চলে আসুন আগামীকাল সকাল সকাল। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিনা। প্লীজ দেরী করবেন না।
পরদিন সকাল এগারোটা নাগাদ মনু ওই মহিলার দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে গেল। প্রয়োজনীয় লাগেজ ব্যাগ নিয়ে। ঘরের দরজায় নক করতেই একজন বয়স্ক মহিলা দরজা খুলে মনুকে ড্রয়িং রুমে এনে বসিয়ে দিল। বলল ম্যাডাম আসছেন।
ম্যাডাম যখন এলেন মনুর চোখ কপালে উঠে গেছে। এ কাকে দেখছে ও? এ তো সেই কলেজের সময় থেকে যার স্বপ্ন দেখত শয়নে স্বপনে। এ তো সেই স্বপ্নসুন্দরী সোমা।
সোমাকে দেখেই হতভম্ব হয়ে ও বললো সোমা তুই? তুই এখানে কি করছিস?
দেখ মনু তুই যে প্লেবয় হয়ে গেছিস তা আমি জানি আর এও জানি তোর চার্জ। কিন্তু কলেজ শেষ হয়ে যাবার পর তোকে আর খুঁজেই পেলাম না। তাই যে অবস্থাতে ছিলাম সেই অবস্থাতেই রয়ে গেছে অর্থাৎ অবিবাহিতা। তুইতো জানতিস আমার বাবা একজন শিল্পপতি ছিলেন। বাবা-মা এখন কেউই নেই। কিন্তু তাদের অগাধ সম্পত্তি থেকে গেছে যার মালিক এখন আমি। আর সেদিন আয়েশার থেকে তোর ছবি দেখেই চিনতে পেরেছিলাম তোকে। তোকে আর ছাড়বো না। তোকে আমার এই বাহুডোড়ে বেঁধে রেখে দেব চিরজীবনের জন্য। তোকে আর ওই প্লেবয়ের কাজ করতে হবে না। তুই এখন আমার সমস্ত সম্পত্তির দেখাশোনা করবি সাথে আমারও।
দুজনে আনন্দে বিভোর হয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরল।