সেই মেঘবালিক, দুটি বিনুনি ঝুলিয়ে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে হারিয়ে যেতো,যেখানে আকাশ মিশেছে মাটির গায়।
আজীবন সে ভালোবাসা ছাড়া, আর কিচ্ছুটি চায় নি! আজ তার প্রেমে পড়া বারণ! কারণ ছাড়াই বারণ!
চলার পথে চড়াই উৎরাই পার করে, সে বুঝেছে স্রোতের প্রতিকূলে ভেসে থাকার নামই জীবন!
পথ চলতে গিয়ে পায়ে কাঁটা বিঁধছে,হৃদয় হয়েছে রক্তক্ষরণ! তবুও সে পথ চলেছে।
মন উজার করে ভালোবাসা দিলেও, আজ তার প্রেমে পড়া বারণ,যতই থাক কারণ অকারণ!
তবুও এক মধু মাসে, চৈত্রের দহন বেলায়, দেখা হয়েছিল তার মেঘে ভরা আকাশের সঙ্গে।
দুটি মনের আদান প্রদান হয়েছিল
মেঘমন্দ্রিত সুরে।
সেই আকাশ ছিল,আকাশের চেয়েও গভীর, যেন মেঘ বালিকার ভিতরে প্রবেশ করে জেগে আছে।
তাকে ভুলতে গিয়ে, তার আরও গভীরে ঢুকে গেছে!
সে যত দূরে যেতে চেয়েছে, তত মিশে গেছে তার নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে!
যেন মেঘ হয়ে আকাশে ভেসে গেছে!
দূরে ঠেলতে চেয়ে আরো বেশি কাছে এসেছে!
তবে কি মেঘবালিকা সত্যিই প্রেমে পড়ছে?
তবু মেঘবালিকা বলেই চলে,
“প্রেমে পড়া বারণ, কারণে অকারণ… “