গ্ৰাম পাশে জঙ্গলে মন্দির প্রাচীন
পাশ দিয়ে যায় বয়ে নদী বন গহীন।
খসে পড়া দেওয়ালে শৈবাল ঘটায়,
ইতিউতি বনলতা জন্মে যে সেথায়।
পাখিদের কূজনেতে সোরগোল বেজায়,
মন্দির মাঝে তারা থাকে সুখে বাসায়।
পোড়ো বলে লোকজন যায় চলে এড়িয়ে,
ভূত নাকি দেখা দেয় বন হতে বেরিয়ে।
শাল আর মহুয়ার ঝরা ফুল গন্ধ
অপরূপ নেশা জাগে মনে আনে ধন্ধ।
মন্দিরে মূর্তির নেই কোনো চিহ্ন,
প্রদীপের কালি শুধু ছেয়ে আছে শীর্ণ।
বিকালেতে ছেলেমেয়ে খেলে কিছু স্বল্প
বয়স্ক যত লোক বসে করে গল্প।
সন্ধ্যা হলে সবে যায় ফিরে ঘরেতে,
আঁধারেতে থাকে পড়ে মন্দির বনেতে।